বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চিৎকার করলে ভালো থাকবে মন, দাবি বিশেষজ্ঞদের

চিৎকার করলে ভালো থাকবে মন, দাবি বিশেষজ্ঞদের

হাসলে মন ভালো থাকে। কিন্তু চিৎকার করলেও যে মন ভালো থাকে, তা কি জানতেন? অবাক হওয়ার মতো তথ্য হলেও সত্যি যে, মন খুলে চিৎকার করাতে কোনো ক্ষতি নেই। উল্টো লাভ আছে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

মন ভালো রাখার জন্য নিয়ম করে ‘চিৎকার’ করা উচিত বলছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এ ধরনের থেরাপির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘স্ক্রিম থেরাপি।’

স্ক্রিম থেরাপি কী?

স্ক্রিম থেরাপি কঠিন কিছু নয়, ব্যস মনের সুখে চিৎকার করুন। তাতেই মনের রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ, না পাওয়ার যন্ত্রণা বেরিয়ে যাবে। এতে মন শান্ত হবে। চিৎকার করার আরো উপকারিতা রয়েছে। এতে হার্ট ভালো থাকে।

ছোটবেলায় অনেক বাচ্চাকেই কাঁদানোর পরামর্শ দেন বাড়ির মুরুব্বিরা। এতে তাদের হার্টের জোর বাড়ে, এমনটাই মনে করা হয়। এ তত্ত্বে খুব একটা ভুল কিছু নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

তবে সবসময় যে দুঃখ কিংবা যন্ত্রণাতেই চিৎকার করতে হবে তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্রে ভূতের সিনেমা দেখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই ভূতের সিনেমা দেখে কেঁপে ওঠেন বা চিৎকার করে ওঠেন। এতে তাদের মনে জমে থাকা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ফলে লাভই হয়।

যেসব কারণে স্ক্রিমিং থেরাপি

আধুনিক জীবনে প্রতি পদে সেরা হওয়ার লড়াই চলে। এতে কোনো মানুষ যত ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ততই তার আবেগের বহিঃপ্রকাশ কমে যায়। তার মানে কিন্তু এ নয় যে, সেই মানুষটির মনে আবেগের অস্তিত্বই নেই।

শুধু ব্যস্ততার চাপে মনের অতলে সব আবেগ চাপা পড়ে যায়। এতেই মনের বোঝা বাড়তে থাকে। তাতে ক্ষতির আশংকা বাড়ে। মনের এ বোঝা হালকা করার অন্যতম মাধ্যম চিৎকার করা। এতেই যাবতীয় আবেগ প্রকাশ করা যায়।

তাই যতো ইচ্ছে চিৎকার করুন। তবে অবশ্যই শব্দদূষণের কথা খেয়াল রেখে। কোনোভাবে যেন আপনার আবেগের বহিঃপ্রকাশ অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়!

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

দৈনিক বগুড়া