রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

স্বাস্থ টিপস

প্রতিদিন ওটস খেয়েও কেন ওজন কমছে না?

প্রতিদিন ওটস খেয়েও কেন ওজন কমছে না?

সংগৃহীত

ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালের নাশতায় অনেকেই ওটস খান। কিন্তু এতে কোনো সুফল মিলছে কি? স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই ওটস খাওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু বেশির ভাগেরই অভিযোগ— কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ওটস খেয়েও যদি ফিট না থাকেন, বুঝবেন ওটস খাওয়ার পদ্ধতিতে ভুল আছে। ওটস খাওয়ার সময় কিছু ভুল এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন, জেনে নিই সেগুলো কী কী।

চিনি মেশানো যাবে না

ওটসে কেউ দই মিশিয়ে খান, আবার কেউ দুধ মিশিয়ে। স্বাদ না হওয়ায় অনেকেই এক-আধা চামচ চিনিও মিশিয়ে দেন। কিন্তু ওটস চিনি মিশিয়ে খেলে কোনো উপকার মিলবে না। মিষ্টি স্বাদের জন্য ওটসে খেজুর, মধু বা দারচিনির গুঁড়া মেশাতে পারেন। মিষ্টি স্বাদের ফলও খেতে পারেন ওটসের সঙ্গে।

ওটস খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে না

অনেকে ব্রেকফাস্টে ওটস খেয়ে ভেবে নেন যে সারা সকাল আর কিছু খাওয়ার দরকার পড়বে না। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক কাটতে না কাটতেই খিদে পেয়ে যায়। এর কারণ হলো, এই খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবার থাকলেও ক্যালরি কম। ব্রেকফাস্টে ভারী খাবার না খেলে বেলা গড়াতেই খিদে পায়। তাই ওটসের সঙ্গে বাদাম, কলা, চিয়া সিডস, টক দইয়ের মতো ভারী খাবারও রাখুন। প্রয়োজনে ডিম সিদ্ধও খেতে পারেন।

রোজ যদি টক দই আর ফল দিয়ে ওটস খান, তাতে একঘেয়েমি আসবেই। তখন ৫ দিনের পরে আর ওটস খেতে ইচ্ছা করবে না। তাই ওটস খাওয়ার ধরনে বদল আনা জরুরি। এক দিন ওভারনাইট ওটস, আর এক দিন ওটসের পোরিজ, আবার এক দিন মসলা ওটস— এভাবে বিভিন্ন উপায়ে ওটস খান। ওটসের খিচুড়ি, মসলা ওটস ইত্যাদি খেতেও সুস্বাদু হয়। আর এ ধরনের রেসিপিতে মসলা ও সবজির ব্যবহার থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ: