সংগৃহীত
বছরের শুরুতেই তৃতীয় বিয়ে করেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। সানিয়া মির্জার সঙ্গে তার ডিভোর্সের খবরও সেই সময় সামনে আসে। আর বিয়ে করার ৩ মাসের মধ্যেই নতুন নায়িকাকে ম্যাসেজ করছেন সানিয়ার প্রাক্তন বর?
মাসখানেক আগেই তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন শোয়েব মালিক। অনেকদিন ধরেই চলছিল সানিয়া মির্জার সঙ্গে তার ডিভোর্সের জল্পনা। তবে মুখ বন্ধ রেখেছিলেন দুই পক্ষই। এরপর পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সানা জাভেদ আর শোয়েবের বিয়ের ছবি আসার ঘণ্টাখানেকের ভিতর মুখ খোলে সানিয়ার পরিবার। জানানো হয়, সানিয়া ডিভোর্স দিয়েছেন স্বামীকে।
অনেকেরই ধারণা, শোয়েবের পরকীয়াই নাকি দায়ি এর পিছনে! সানা জাভেদের আগে, অভিনেত্রী এবং মডেল আয়েশা ওমরের সঙ্গে শোয়েবের সম্পর্কের খবর উঠেছিল। দাবি উঠছিল যে, এই পাকিস্তানি সুন্দরীর কারণেই নাকি সানিয়া এবং শোয়েবের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক নেই।
এদিকে সানার সঙ্গে শোয়েবের বিয়ের কয়েকমাস যেতে না যেতেই, একটি নতুন জল্পনা ছড়িয়েছে। পাকিস্তানি অভিনেত্রী নাওয়াল সাঈদ একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন। পাকিস্তানে রমজানের বিশেষ অনুষ্ঠান। এই চ্যাটের সময়, তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে অভিনেতারা তার ডিএম-এ ঢুকে তার সঙ্গে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করেছে কি না। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছিলেন, অভিনেতা নয়, তিনি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি বার্তা পান। হোস্ট তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, নাসিম শাহ সেই খেলোয়াড় কিনা যিনি তাকে টেক্সট করেছিলেন এবং নাওয়াল হাসতে শুরু করেছিলেন। তারপর হোস্ট নাম নেন শোয়েব মালিকের। দেখা যায় নাওয়াল প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে হাসতে শুরু করেন।
নাওয়ালের কথায় অবাক হন প্রায় সকলেই। পাকিস্তানের অভিনেত্রীর সঙ্গে ফ্লার্ট করে ডিএম পাঠানো ব্যক্তি শোয়েব কি না, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। নাওয়াল আরও বলেছেন যে, ক্রিকেটাররা যখন তার সৌন্দর্যের জন্য প্রশংসা করেন, তখন তিনি এই বার্তাগুলির স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করে রাখেন।
২০১০ সালের ১২ এপ্রিল হায়দরাবাদে বিয়ে করেছিলেন সানিয়া এবং শোয়েব। বিয়ের এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তান থেকে বরের বাড়ির লোকেরা চলে এসেছিল ভারতে। আর সেই সময় আয়েশা সিদ্দিকির থেকে আসে বিস্ফোরক তথ্য। সানিয়ার শহরের সেই মেয়ে আসলে শোয়েবের প্রথম স্ত্রী। ভারতে খেলতে এসে একবার আয়েশার বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল শোয়েব-সহ পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের। সেখানেই নাকি বিয়ে হয়েছিল শোয়েব এবং আয়েশার। শোয়েব স্বীকার করে নেন সবটা। যদিও জানান, ফোনেই তালাক হয়েছে তাদের। মানতে চাননি আয়েশা। আদালতে গড়িয়েছিল গোটা বিষয়টা। সানিয়াকে বিয়ের আগে এরপর আইনিভাবে ডিভোর্স হয় শোয়েব আর আয়েশার।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ