শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহাস্থানগড় খননে মিলছে ১৭০০ বছরের পুরনো প্রত্ন নিদর্শন

মহাস্থানগড় খননে মিলছে ১৭০০ বছরের পুরনো প্রত্ন নিদর্শন

বগুড়ার মহাস্থানগড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে সন্ধান মিলেছে প্রায় ১৭০০ বছর আগের প্রাচীন পুরাকৃতির। ইতোমধ্যেই এ খনন কাজ থেকে আবিস্কার হয়েছে প্রাচীন আমলের সিল ও পোড়া মাটির মাথার। এছাড়া সন্ধান পাওয়া গেছে গুপ্ত ও পাল যুগের বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মূর্তির। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, মহাস্থান গড়ের বৈরাগীর ভিটায় একটি বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। যার ধ্বংসাবশেষও আবিস্কৃত হয়েছে।

চলতি বছরের ১ লা মার্চ থেকে মহাস্থান গড়ের বৈরাগীর ভিটায় চলছে এ খনন কাজ। শুরু হওয়া এই খনন কাজ চলবে আরো মাস খানিক। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সেখানে ১৭০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তি, দুটি বৌদ্ধ স্তুপা (সমাধি সৌধ), প্রাচীন লিপি খচিত সিল, পোড়া মাটির নারী অবয়বের মাথা, অলঙ্কৃত ইট, ভগ্ন মৃৎ পাত্র, বৌদ্ধ মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রত্ন সামগ্রীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

ইতিহাসের লুকানো রহস্য দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য ২০১৬ থেকে বৈরাগীর ভিটা খনন শুরু করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। গেলো তিন বছর করোনা মহামারির কারণে খনন বন্ধ থাকলেও এবার পুণরায় এই ভিটায় চলছে খননযজ্ঞ।

বর্তমানে বৈরাগীর ভিটার যেস্থানে খনন করা হচ্ছে তার সাথেই ঠিক দক্ষিণাংশে একটি মন্দির কমপ্লেক্সের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিলো আগের খননে। আর এবার বৌদ্ধ মন্দির কমপ্লেক্সের সন্ধান পেলেন উৎখননে নিয়োজিতরা।

প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা জানান, ২০১৬ সাল থেকে পরপর তিন অর্থ বছরের শীত মৌসুমে আমরা বৈরাগীর ভিটায় খনন কাজ শুরু করি। ইতোমধ্যেই প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক নিদর্শন আমরা পেয়েছি। গত দু বছর করোনার কারনে বন্ধ থাকার পর ২১-২২ অর্থ বছরে ১ মার্চ থেকে আমরা পুনরায় এ খনন শুরু করেছি। এবারের খননে আমরা চারটি দেয়াল বিশিষ্ট স্তুপ পেয়েছি। এবং এর মাঝখানে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পেয়েছি। এছাড়া পাওয়া গেছে প্রাচীন আমলের সিল, মূর্তির মাথাসহঅন্যন্য নিদর্শনও।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পালিত জানান, মহাস্থান গড়ের বৈরাগীর ভিটায় গুপ্ত ও পাল যুগের অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে। প্রাচীন এসব পুরাকীর্তির মধ্যে বৌদ্ধ মূর্তি গুলো ছিলো দৃষ্টি নন্দন। মাথার অংশে চুল আচরানো ও খোপায় ফুল দেয়া মূর্তি দেখতে পাওয়া গেছে। এ গুলো থেকে সেই সময়ের মানুষের জীবনচরিত সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।

দৈনিক বগুড়া