শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীতের আমেজ না কাটতেই গ্রীষ্মকালীন ফলে ভরপুর শাজাহানপুরের বাজার

শীতের আমেজ না কাটতেই গ্রীষ্মকালীন ফলে ভরপুর শাজাহানপুরের বাজার

শীতের আমেজ এখনো পুরোপুরি যায়নি বগুড়ার শাজাহানপুরে। দিনে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও রাতে থাকছে শীত। নাতিশীতোষ্ণ এই আমেজের মধ্যেই বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। বিভিন্ন নামের আর দামের তরমুজে বাজারজুড়ে পশরা বসানো হয়েছে দোকানগুলোতে। সাজিয়ে রাখা হয়েছে ছোট ও বড় আকারের তরমুজ। মৌসুমের শুরুর এই তরমুজ ক্রেতাদের আকর্ষণও রয়েছে অনেকের। তবে দামের পরিমাণ একটু বেশির হওয়ায় কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। রোববার শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

ফাল্গুন মাস শুরু হতে না হতেই বাজারগুলোতে মৌসুমী ফলের এমন সমাহার দেখে আগ্রহের কমতি নেই ক্রেতাদের। ফল বিক্রেতারা বলছেন, কিছুটা গরম পড়তে শুরু করায় এবং আগামজাতের ফল বাজারে আসায় ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক। তবে দাম যেমনই হোক, মৌসুমের প্রথম দিকে ফলের স্বাদ নিতে পেরে খুশি ক্রেতারা। এ ছাড়াও বাজারে এখন পেয়ারা, আনারস, বেল, পেঁপে, বড়ইও পাওয়া যাচ্ছে। এসব ফলের দিকে ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক বেশি।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে যেসব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে, তা আগাম জাতের। এসব তরমুজ দেশের দক্ষিণাঞ্চল জেলা বরিশাল এবং কুয়াকাটা থেকে আমদানি করা হয়েছে। এ ছাড়াও বগুড়ায় আগামজাতের তরমুজও চাষ হয়। তবে তা পরিমাণে কম হলেও খুবই সুস্বাদু।

জানা যায়, চাষিরা বেশি লাভের আশায় আগামজাতের তরমুজ চাষ করে বাজারজাত করছেন। তাই এখানকার বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ এসেছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, একেকটি তরমুজের ওজন ৬-১০ কেজি। লাল টকটকে রঙের এই তরমুজের চাহিদা বেশি। ক্রেতারা এসব তরমুজ কিনছেন। যে কারণে পাঁচ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ২৫০ টাকা এবং ৮ থেকে শুরু করে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। তবে পুরো মৌসুম শুরু হলে দাম অনেকটাই কমবে বলে জানান তারা।

শাজাহানপুরের বি ব্লক, মাঝিড়া, দুবলাগাড়ী, বনানী ও রানীরহাট বাজারের মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন জাতের তরমুজ আমদানি করা হয়েছে। তবে বগুড়া জেলায় যে পরিমাণ আগামজাতের তরমুজ চাষ হয়, তা দিয়ে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ হয় না। সে কারণে বাইরের জেলা থেকে তরমুজ নিয়ে আসেন। তবে দাম একটু চড়া হলেও মৌসুমী এসব ফলের স্বাদ মিষ্টি হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা ও আগ্রহের কমতি নেই।

দৈনিক বগুড়া