শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুসা (আ.)-এর কবুল হওয়া ৪ দোয়া

মুসা (আ.)-এর কবুল হওয়া ৪ দোয়া

হজরত মুসা (আ.) একজন সম্মানিত নবী ও রাসুল। আল্লাহ তাআলা তাঁকে একান্তে কথা বলার নৈকট্য দান করেছিলেন। নয়টি নিদর্শন নিয়ে এসেছিলেন তিনি। এর মধ্যে লাঠি সাপ হয়ে ফেরাউনের যাদুকরদের পরাস্থ করা এবং লাঠির আঘাতে সাগরের মাঝখানে রাস্তা তৈরি হয়ে যাওয়া ঘটনাদ্বয় অন্যতম। মুসা (আ.) ফেরাউনের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য, গুনাহ ক্ষমার জন্য, দ্বীনের দাওয়াত সহজ করার জন্য এবং জীবিকার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে বিভিন্ন দোয়া করেছেন। এখানে মুসা (আ.)-এর কবুল হওয়া ৪টি দোয়া তুলে ধরা হলো।

১. رَبِّ اشْرَحْ لِيْ صَدْرِيْ وَ يَسِّرْلِيْ أَمْرِيْ وَ احْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِيْ يَفْقَهُوْا قَوْلِيْ উচ্চারণ: রব্বিশরাহলি ছদরি, ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি, ওয়াহলুল উক্বদাতাম মিল লিসানি, ইয়াফক্বাহূ ক্বওলি। অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও এবং আমার কাজ সহজ করে দাও। আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা: ২৫-২৮)

এই দোয়াগুলো কবুলের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তিনি (আল্লাহ) বলেন, হে মুসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেওয়া হলো।’ (সুরা ত্বহা: ৩৬) 

২. رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي ‘রাব্বি ইন্নী জালামতু নাফসী ফাগফিরলী।’ অর্থ: ‘হে আমার রব! আমি নিজের প্রতি অবিচার করেছি। আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (সুরা কাসাস: ১৬)

এই দোয়াও কবুল হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা কাসাস: ১৬)

৩. رَبِّ نَجِّنِیۡ مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ‘রাব্বি নাজ্জিনী মিনাল ক্বাওমিজ জোয়ালিমীন।’ অর্থ: ‘হে আমার রব! আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’ (সুরা কাসাস: ২১) এই দোয়াও আল্লাহ তাআলা কবুল করে ফেরাউন থেকে মুক্তি দিয়েছেন।

৪. رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير উচ্চারণ: ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাকির।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস: ২৪) এই দোয়াটি মুসা (আ.) উত্তম জীবিকার জন্য করেছিলেন। সেই দোয়াটিও আল্লাহ কবুল করেছেন।

প্রিয় পাঠক, আসুন আমরা দোয়াগুলো মুখস্থ করে নিই। যাতে মুসা (আ.)-এর উচ্চারিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের এই ফিতনা ফাসাদের যুগে আল্লাহর শিখানো ভাষায় পয়গম্বরদের বাস্তবজীবনের দোয়াগুলোর ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

দৈনিক বগুড়া