রোববার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ইসলামি শরিয়তে দাড়ি রাখার বিধান ও ফজিলত

ইসলামি শরিয়তে দাড়ি রাখার বিধান ও ফজিলত

সংগৃহীত

ইসলামী শরিয়তের সবকিছুই পবিত্র কোরআনুল কারিম ও হাদিসের ওপর নির্ভরশীল। পবিত্র কোরআনে যা কিছু বলা হয়েছে তার সব কিছুই মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে এসেছে আর মহান আল্লাহর সব আদেশই ফরজ এবং যা হাদিসের মাধ্যমে এসেছে তা কিছু সময় ওয়াজিব আবার কিছু সময় সুন্নত।

অর্থাৎ ওয়াজিব হচ্ছে সেই সমস্ত কাজ যেগুলো করার প্রতি  বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ রয়েছে বা যেগুলো পালন করার প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়েছে আর সুন্নত হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সা.) যা করতেন সেই সব কাজ। একজন মুসলিম হিসেবে এর সবকিছুই আমাদের করণীয়।

কারণ পবিত্র কোরআনুল কারিমের বিভিন্ন সূরায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنتُمْ تَسْمَعُونَ

অর্থ: ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না’। (সূরা: আনফাল, আয়াত: ২০)

পবিত্র কোরআনুল কারিমের সূরা হাশরের মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

অর্থ: ‘রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা’। (সূরা: হাশর, আয়াত: ৭)

আজকে আমরা ইসলামে দাড়ি রাখার বিধান ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব। যদিও এই বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক রয়েছে তবুও সেদিকে না তাকিয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের দলিলভিত্তিক আলোচনা করার চেষ্টা করব।

দাড়ির আরবি প্রতিশব্দ হচ্ছে লিহইয়াহ। এই শব্দটি ‘লাহি’ বা চোয়াল থেকে আগত। চোয়াল তথা গালে গজানো চুলকেই মূলত দাড়ি বলা হয়। নিচের ঠোঁটের নিচে, চিবুকে ও চোয়ালের নিচের অংশে উৎপন্ন চুলও এর অন্তর্ভুক্ত।

দাড়ি পুরুষদের মুখমন্ডলের একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশ। গুরুত্ত্বপূর্ণ বলার কারণ হচ্ছে দাড়ি রাখা বা না রাখার ইসলামিক ও বৈজ্ঞানিক উপকারী ও ক্ষতিকর উভয় দিক রয়েছে। যা আজ আমরা আমাদের আলোচনায় তুলে ধরবো।

পুরুষদের মুখমন্ডলে দাড়ি রাখা মুসলিমদের এক গুরুত্বপূর্ণ চিন্হ যা তার মুসলমান হওয়ার পরিচয় বহন করে। দাড়ি রাখা ফরজ, ওয়াজিব নাকি শুধুই সুন্নাত তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) তার জীবনে যা করতেন অর্থাৎ তার কর্মপন্থাই মূলত সুন্নত হিসেবে পরিগণিত। সেই দিক থেকে দাড়ি রাখা অবশ্যই সুন্নত এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

পবিত্র কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহ পাক বলেছেন যে,

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

অর্থ: ‘বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালোবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু’। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)

হাদিস শরিফে আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলে পাক (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘দশটি বিষয় সব নবী-রাসূলগণের সুন্নত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা অন্যতম’। (সহিহ মুসলিম শরিফ: ১/১২৯) এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে নবীর সুন্নত হিসেবে দাড়ি রাখার গুরুত্ব অনেক।

আবার, দাড়ি রাখা যে ওয়াজিব সেই বিষয়েও অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই, কারণ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ ۗ وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِينًا

অর্থ: ‘আল্লাহ ও তার রাসূল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ক্ষমতা নেই, যে আল্লাহ ও তার রাসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়’। (সূরা: আহজাব, আয়াত: ৩৬) এই আয়াতে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কথার গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।

আর দাড়ি রাখার বিষয়ে সহিহ হাদিসসমূহতে নবীজি (সা.) এর অনেকগুলো হাদিস বর্ণিত আছে। যেমন:

عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَوْفُوا اللِّحَى

অর্থ: ‘হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ( রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুশরিকদের বিরোধিতা করো, দাড়ি লম্বা কর, আর গোঁফ ছোট কর’। (সহিহ বুখারি শরিফ- ২/৮৭৫, সহিহ মুসলিম: হাদিস নম্বর: ৬২৫)

আবার, দাড়ি রাখাকে অনেকে ফরজ বলে দাবি করেন এই বিষয়কেও অগ্রাহ্য করা যায় না । কারণ নবী কারিম (সা.) যা করতেন এবং যা বলতেন তার সবকিছুই মহান আল্লাহর তরফ থেকে নির্ধারিত ছিল। মহান আল্লাহ আদেশ ব্যাতীত তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতেন না আর নিলেও তা পবিত্র আল কোরআনের ভিত্তিতে যেখানে আল্লাহর বাণী দেওয়া আছে।

মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র আল কোরআনে বলেছেন,

وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

অর্থ: ‘রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা’। (সূরা: হাশর, আয়াত: ৭)

দয়ার নবী (সা.) অনেকবার দাড়ি রাখার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন। দাড়ি রাখার কথা পবিত্র কোরআনে সরাসরি বলা না থাকলেও রাসূলের মাধ্যমে তা অনেকবার এসেছে, তাই দাড়ি রাখাকে অনেকে ফরজ বলে দাবি করেন।

ইসলামের বিশেষ চিন্হ, অন্যতম নিদর্শন ও নবী রাসূলগণের তরীকা হলো দাড়ি রাখা। ইসলামী চিন্তা-চেতনার দিক থেকে দাড়ি রাখার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। দাড়ি রাখা সব মুসলমানের বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য।

দাড়ির দৈর্ঘ্যের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ হচ্ছে দাড়ি সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া অর্থাৎ বড় হতে দেওয়া। সাহাবাগণেরাও দাড়ি পূর্ণ ও বড় রাখতেন।

হজরত মুহাম্মাদ (সা.) কখনো দাড়ি কেটেছেন বা ছোট করেছেন বলে কোনো সহিহ হাদিসের বর্ণনায় আসেনি। তবে নবীর কয়েকজন সাহাবা, যেমন: হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.), হজরত আবু হুরায়রা (রা.), হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন যে তারা দাড়ির এক মুষ্টির চেয়ে লম্বা অংশ ছেঁটে বা কেটে ফেলতেন।

তাই সব বিষয় খেয়াল রেখে দাড়ি রাখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মানতে হবে; তা হলো- 

(১) দাড়ি রাখা,

(২) দাড়ি লম্বা করা,

(৩) অন্তত একমুঠো পরিমাণ পর্যন্ত রাখা।

সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম শরিফে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) কতৃক বর্ণিত, হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর, দাড়ি বাড়াও, গোঁফ কাট’। (বুখারি শরিফ ও মুসলিম শরিফ)

দাড়ি এক মুঠো রাখার ব্যাপারে কোনো সহিহ হাদিস পাওয়া যায় না তবে, অনেক জায়গাতেই একমুঠোর বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়। এই বিষয়ে কিছু হাদিসের বর্ণনা করা হলো-

আবু যুর’আ কতৃক বর্ণিত আছে যে , আবু হুরায়রা (রা.) দাড়ি হাতের মুঠোয় নিয়ে এর অতিরিক্ত অংশ ছেটে নিতেন। (ইবন আবী শায়বা- খন্ড-৮)

অন্য এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) কতৃক বর্ণিত আছে যে, তিনি নিজের দাড়ি হাতের মুঠোয় নিয়ে অবশিষ্ট অংশ কর্তন করতেন। (নাছবুর রায়াহ)

তবে দাড়ি রাখা এবং তা লম্বা রাখা বা বড় করা বা বাড়ানো সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। তাই বিতর্কে না গিয়ে এক মুঠো বা তার চেয়ে বড় করে দাড়ি রাখা উচিত।

দাড়ি না রাখার অনেক কুফল রয়েছে। কারণ দাড়ি যদি কেউ না রাখে তার দ্বারা ইসলামের অনেক বিধান লঙ্ঘিত হয়। যেমন-

(১) দাড়ি না রেখে রাসূলুল্লাহ (সা.) অবাধ্যতা করা হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘গোঁফ ছোট করো এবং দাড়ি লম্বা করো’। (বুখারি, মুসলিম ও অন্যান্য)

(২) দাড়ি না রেখে মহান আল্লাহর অবাধ্যতা করা হয়। কারণ: মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন যে, ‘যে রাসূলের আনুগত্য করলো, সে আল্লাহরই আনুগত্য করলো’। (সূরা: নিসা, আয়াত: ৮০)

(৩) মহানবী (সা.) দাড়ি রাখতেন এবং তার উম্মতকেও রাখতে বলতেন আর তাই কেউ যদি দাড়ি না রাখে সে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর পথ থেকে বিচ্যুতি হয়ে গেল।

(৪) যে দাড়ি রাখে না সে মুমিনদের পথ থেকে বিচ্যুত। মহান আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার ১১৫ নম্বর আয়াতে বলেন, যদি কেউ রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে তাহলে তার জায়গা হবে জাহান্নাম।

(৫) দাড়ি মুসলিমদের কাফিরদের থেকে আলাদা হিসেবে চিন্হিত করে। তাই দাড়ি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক কুফল ও কঠোর শাস্তি রয়েছে দাড়ি না রাখার। তাই অবশ্যই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত ইসলামের বিধান অনুযায়ী দাড়ি রাখা।

ইসলাম ধর্মে দাড়ি রাখার অনেক ফজিলত বা উপকারীতা সম্পর্কে বর্ণিত আছে। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো।

(১) দাড়ি রাখলে মহান আল্লাহ পাক ও তার রাসূল (সা.) খুশি হন;

(২) দাড়ি রাখলে হাশরের ময়দানে শেষ বিচারের দিন নবীজি (সা.) এর শাফায়াত লাভ হবে;

(৩) দাড়ি রাখলে সব নবী-রাসূলগণের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হয়;

(৪) দাড়ি রাখলে কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়;

(৫) দাড়ি চেহারার সৌন্দর্য্য বাড়ায় ও বীরত্বের পরিচয় বহন করে;

(৬) কেয়ামতের দিন অন্ধকার সময়ে মুমিনের দাড়ি নূরে (আলোয়) পরিণত হবে;

(৭) ঈমান ও আমল ঠিক থাকলে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ এবং হাশর হবে নবী ও ওলীদের সঙ্গে;

(৮) দাড়ি একজন মুসলমানকে অনেক পাপ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে;

(৯) দাড়ি ইসলামি সভ্যতার ও মুসলমানের অন্যতম প্রতীক, দাড়ির মাধ্যমে একজন মুসলিমকে সহজে চেনা যায়;

(১০) দাড়ি রাখলে কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতা মুনকার-নাকীরের সওয়াল-জাওয়াব সহজ হয়;

ইসলামে দাড়ি রাখার প্রতি এত জোর দেওয়ার কারণগুলো ওপরে কিছুটা বর্ণনা করা হয়েছে তবে এটা মানব মুখমন্ডলের জন্যেও উপকারী আর সেই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে দাড়ি নিয়ে গবেষণা চালানো হয় যার ফল প্রকাশিত হয় ‘জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনে’ নামে এক ম্যাগাজিনে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, দাড়িওয়ালাদের চেয়ে দাড়ি কামানো পুরুষদের ত্বকেই মেথিসিলিন-রেসিস্ট্যান্ট স্ট্যাফ অরিয়াস বলে যে জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সেটি ৩ গুন বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে।

যার কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, দাড়ি কামাতে গিয়ে মুখের চামড়ায় যে ঘষা লাগে, তা ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার জন্য আদর্শ পরিবেশ। অন্যদিকে দাড়ি ব্যাক্টেরিয়ার এই সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।

লন্ডনের গবেষক ড. অ্যাডাম রবার্ট এক গবেষণায় দেখেছেন, দাড়িতে এমন কিছু ‘মাইক্রোব’ থাকে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

এগুলো ছাড়াও দাড়ির আরো কিছু উপকারী দিক রয়েছে।

(১) দাড়ির অস্তিত্ব যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি করে;

(২) লম্বা দাড়ি ক্ষতিকর জীবাণু থেকে আমাদের রক্ষা করে;

(৩) পাইরিয়ার মতো মারাত্বক রোগের জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়;

(৪) দাড়ি রাখলে অনর্থক সময় ও অর্থ অপচয় রোধ করা যায়;

(৫) শারীরিক সৌন্দর্য্য ও আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়;

(৬) দাড়িতে ক্ষুর বা ব্লেড ব্যবহারের কারণে চোখের জ্যোতি কমে যায় এবং মুখমন্ডলের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। দাড়ি রেখে দিলে এসব ক্ষতিকর দিক থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

শেষে বলা যায় যে, হাদিসে লূত সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ রয়েছে, যে সম্প্রদায়কে মহান আল্লাহ তিআলা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আর এ ধ্বংসের পেছনে যে ১০টি কারণ ছিলো ‘দাড়ি না রাখা এবং গোফ বড় রাখা’ তাদের অন্যতম একটি কারণ ছিল।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: