
সংগৃহীত
ইন্টারনেটের গতি যখন স্লো থাকে, তখন আর স্মার্টফোন স্মার্ট থাকে না। হয়ে যায় সম্পূর্ণ আনস্মার্ট। কোনোকিছু ডাউনলোড বা আপডেট করতে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট জরুরি। এবার বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট চালু করলো চীন।
ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান নেটওয়ার্কের চেয়ে কয়েক গুণ দ্রুত হবে এই ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেটের গতি সেকেন্ডে ১ দশমিক ২ টেরাবাইট, অর্থাৎ এক সেকেন্ডে ১৫০টি সিনেমার সমপরিমাণ ফাইল স্থানান্তর করা সম্ভব। চীনের কোম্পানি হুয়াওয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
হুয়াওয়ে ও চায়না মোবাইল যৌথভাবে তৈরি করেছে একটি করিডর। বেইজিং থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত তিন হাজার কিমি চওড়া করিডরটি। ওই করিডরেই বিশ্বসেরা ইন্টারনেট স্পিড পাওয়া যাচ্ছে। চীনা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েই করিডরটি তৈরি করা হয়।
ব্লুমবার্গ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিঙ্গুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ওই সংস্থা দুটি। এছাড়াও গবেষকদের জন্য সারনেট ডটকমের সঙ্গে চুক্তি করে সংস্থা দুটি। চার দলের যৌথ চেষ্টাতেই তৈরি হয়েছে সুদীর্ঘ করিডর। এখানের নেট স্পিড এমবি-তে মাপা যায় না।
এমনকি জিবি-তেও মাপা যায় না। মাপতে হবে টিবিতে। প্রতি সেকেন্ডে ১.২ টেরাবাইট। অর্থাৎ এক হাজার জিবিরও বেশি নেট স্পিড এই অঞ্চলে। যা বিশ্বের যেকোনো দেশের নেট স্পিডকে অনায়াসে ছাপিয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত চীনের প্রেসিডেন্ট সিঙুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ছাত্র। ওই বিশ্ববিদ্যালয় এদিন বিবৃতি দিয়ে জানায়, ৩১ জুলাই থেকে শুরু হয় নানা পরীক্ষানিরীক্ষা। সবকটি পরীক্ষানিরীক্ষাই পাশ করেছে ওই করিডর। ফলে আপাতত সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট এটিই।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ