মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

‘পাঠাও পে’ দেশব্যাপী চালু হলো আজ

‘পাঠাও পে’ দেশব্যাপী চালু হলো আজ

সংগৃহীত

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠাও’ এবার নিয়ে এসেছে ‘পাঠাও পে’ সেবা। এই নতুন ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ট্রানজেক্ট, অ্যাকসেস এবং ম্যানেজ করতে পারবেন।

‘ইউর ইউনিভার্স, ইউর ওয়ে’ (Your YOUniverse, Your Way’ এই ট্যাগলাইনের মাধ্যমে ‘পাঠাও পে’ ইনোভেশন, সিকিউরিটি এবং লাইফস্টাইলকে একত্রিত করেছে। সারা দেশে ডিজিটাল সার্ভিস সহজ করার পথে এটি পাঠাও-এর আরেকটি বড় পদক্ষেপ।

‘পাঠাও পে’ দিয়ে আপনি এখন খাবার অর্ডার করা, রাইড নেওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে বিল ভাগ করা বা কাউকে টাকা পাঠানো সবকিছুই করতে পারবেন একদম সহজে। সঙ্গে আছে কিছু মজার ফিচারও, যেমন ‘পে ট্যাগ’ (Pay Tag) দিয়ে পার্সোনাল ইনফরমেশন শেয়ার না করেও সহজে টাকা রিসিভ করা বা অনেকের কাছ থেকে একসঙ্গে টাকা তোলা, ‘স্প্লিট পে’ (Split Pay) দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বিল ভাগাভাগি করা, ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ (Group Send Money) দিয়ে একসঙ্গে অনেকজনকে টাকা পাঠানো এবং ‘অটো-পে’ (Auto-Pay) দিয়ে অটোমেটেড পেমেন্ট সিস্টেম এখন ট্রানজেকশনকে করবে আরও দ্রুত, স্মার্ট ও সুবিধাজনক।

ব্যবহারকারীরা এখন মোবাইল রিচার্জও করতে পারবেন অ্যাপ থেকেই। আর খুব সহজেই ‘পাঠাও পে’-তে অ্যাড মানি করতে পারবেন আপনার ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড (ভিসা, মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স) বা নগদ থেকে।

নতুন সেবার যাত্রা শুরুর অংশ হিসেবে পাঠাও চালু করেছে ‘পাঠাও পে’ কার্ড, এটি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) দ্বারা সাপোর্টেড এবং মাস্টারকার্ড-পাওয়ার্ড। এই মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দেশে এবং বিদেশে আরও সহজে তাঁদের ফাইন্যান্স কন্ট্রোল করতে পারবেন। কার্ডটি পাওয়া যাবে তিনটি ইউনিক ডিজাইনে— স্টারলিট হরিজন (Starlit Horizon), পার্পল হেজ (Purple Haze) এবং সানশাইন বিচ (Sunshine Beach)। এই কার্ডে থাকছে রিয়েল-টাইম ওয়ালেট ব্যালেন্স সিঙ্কিং, ডুয়াল কারেন্সি সাপোর্ট, পিন ছাড়াই ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘এনএফসি ট্যাপ অ্যান্ড পে’ (NFC Tap & Pay) এবং এমটিবির সব এটিএম থেকে বিনা মূল্যে টাকা তোলার সুযোগ। মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল রিচ, রোবাস্ট সিকিউরিটি সুবিধার মাধ্যমে সঠিকভাবে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করা থাকলেই এই কার্ড দিয়ে খুব সহজেই দেশে-বিদেশে শপিং, সাবস্ক্রিপশন, ট্রাভেলসহ সব ধরনের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট করা যাবে।

সেবাটি চালু উপলক্ষে নতুন ‘পাঠাও পে’ ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন পাঠাও-এর কোর সার্ভিসগুলোতে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। প্রতি সার্ভিস অনুযায়ী ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন ‘পাঠাও ফুড’-এ সর্বোচ্চ ১ হাজার, ‘পাঠাও কার’ রাইডে সর্বোচ্চ ১ হাজার, ‘পাঠাও বাইক’-এ সর্বোচ্চ ৫০০ এবং পার্সেল ডেলিভারিতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। কোনো ঝামেলা ছাড়াই শুধু পাঠাও সার্ভিসগুলো ব্যবহার করলেই উপভোগ করতে পারবেন এই দারুণ ক্যাশব্যাক। তাই, এখনই পাঠাও অ্যাপে গিয়ে সাইন আপ করুন ‘পাঠাও পে’-তে, আর পেমেন্ট করুন ‘পাঠাও পে’ দিয়ে।

পাঠাও-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘পাঠাও পে হলো ডিজিটালি নিজস্ব ফাইন্যান্স নিয়ন্ত্রণের একটি অন্যতম সহজ উপায়। পাঠাও পে-র মাধ্যমে আপনার ফান্ড যখন যেভাবে প্রয়োজন সেভাবেই অ্যাকসেস, ট্রানজেক্ট ও ম্যানেজ করতে পারবেন। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ডিজিটাল ফাইন্যান্স সলিউশন, যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।’

‘পাঠাও পে’-র মাধ্যমে পাঠাও ব্যবহারকারীদের হাতে নিয়ন্ত্রণ, সুবিধা ও স্বাধীনতা তুলে দিয়ে জীবনকে সহজ করার এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে লাখো মানুষের ক্ষমতায়নের অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী করেছে। ‘পাঠাও পে’ শুধু একটি ডিজিটাল ওয়ালেট নয়, এটি আপনার ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্স, যা আপনি আপনার নিজের মতো করেই তৈরি করতে পারবেন।

বিস্তারিত জানতে ডাউনলোড করুন পাঠাও অ্যাপ এবং সাইন আপ করুন ‘পাঠাও পে’-তে। লিংক: https://pathao.go.link/gTuDn.

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে ‘পাঠাও’। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ: