
সংগৃহীত
পাঁচ দফায় ইংল্যান্ড সফর পাঁচবার লর্ডসে খেলেছেন স্টিভেন স্মিথ। পারফর্মও করেছেন। তবে ক্রিকেট-তীর্থ বলে পরিচিত মাঠে তার এবারের খেলাটা হবে অন্যরকম। এবার ম্যাচটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নয়। এর চেয়েও বড় কথা, এবারের ম্যাচটি শিরোপার মঞ্চ। উপলক্ষ নতুন হলেও চেনা আঙিনা পুরোনো রূপেই রাঙাতে চান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য ইংল্যান্ডে পৌঁছে প্রস্তুতি শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া দল। বেকেনহ্যামে বুধবার অনুশীলনে ১৫ জনের স্কোয়াডের ১২ জন ছিলেন উপস্থিত। আইপিএল ফাইনালে খেলা জশ হেইজেলউড, জশ ইংলিস ও আইপিএলে খেলা আরেক তারকা ট্রাভিস হেড এখনও যোগ দেননি দলের সঙ্গে।
প্রথম দিনের অনুশীলনে লম্বা সময় ব্যাট করেন স্মিথ। পরে আইসিসি ডিজিটালকে তিনি শোনান ফাইনাল নিয়ে রোমাঞ্চের কথা। “আরেকটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য যুক্তরাজ্যে ফিরতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। এখানে আসাটা সবসময়ই দারুণ এবং ইংল্যান্ডে খেলতে আমি পছন্দ করি।”
“এখনও পর্যন্ত সবকিছু কেবল শুরু হচ্ছে, কিছুটা বাতাস আছে। তবে প্রস্তুতি শুরু করতে পেরে এবং কিছুটা ছন্দ পেয়ে, নেটে কিছু বল খেলে ভালো লাগছে। লর্ডসের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা।”
ইংল্যান্ডে স্মিথের রেকর্ড বরাবরই দারুণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশটিতে ২২ টেস্ট খেলে ৮ সেঞ্চুরি আছে তার। দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ও রান করেছেন ইংল্যান্ডেই। ব্যাটিং গড় সেখানে ৫৫।
এই ব্যাটিং গড় আরও ভালো লর্ডসে। সেখানে পাঁচ টেস্ট খেলে দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে তার গড় ৫৮.৩৩। প্রিয় ২২ গজে আবার ছড়ি ঘোরাতে প্রস্তুত ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
“লর্ডসে দারুণ স্মরণীয় কিছু স্মৃতি আছে আমাদের। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্যও খুব প্রিয় স্মৃতি আছে এখানে। আমার এখানে শুরু করতে মুখিয়ে আছি আমরা।” “দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্যই খুব ভালো দল। দারুণ একটি ম্যাচ হওয়ার কথা এবং আশা করি, আরও একটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আমরা নিজেদের করে নিতে পারব।”
লর্ডসে প্রথম টেস্ট খেলেছেন স্মিথ ২০১০ সালে। তখনও পর্যন্ত তার পরিচয় ছিল লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ ও ৯ নম্বরে ব্যাট করে দুই ইনিংসে করেছিলেন ১ ও ১২ রান। পরে ২০১৩ অ্যাশেজে যখন খেললেন, তখনও আজকের স্মিথ হয়ে ওঠেননি। ছয়ে নেমে সেবার করেছিলেন ২ ও ১।
তবে পরেরবার থেকেই লর্ডসের সঙ্গে গড়ে ওঠে তার সখ্য। ২০১৫ অ্যাশেজে এখানে খেলেন ২১৫ রানের ইনিংস। তার প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি ছিল সেটি, এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। সেবার দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৫৮।
২০১৯ অ্যাশেজে একটি ইনিংস খেলেই করেন ৯২। সবশেষ সফরে ২০২৩ অ্যাশেজে এখানে তিনি উপহার দেন সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে লর্ডসে তার রান ৫২৫। এই মাঠের ইতিহাসের সফলতম সফরকারী ব্যাটসম্যান হয়ে উঠতে পারেন তিনি এবারই। বিদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পাঁচ ম্যাচে ৫৭৫ রান করে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ারই ওয়ারেন বার্ডসলি। এছাড়া পাঁচ ম্যাচে ৫৭১ রান রান স্যার গ্যারি সোবার্সের, চার ম্যাচে ৫৫১ স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের।
সূত্র: bdnews24