
সংগৃহীত
দেশে এক অর্থবছরে প্রথমবারের মত প্রবাসী আয় ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল। সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে।
এক বছর আগের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের রেমিটেন্সের হালনাগাদ তথ্য দেন।
মাসের হিসাবে এ বছরের জুনে রেমিটেন্স এসেছে ২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের এ মাসে এসেছিল ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে জুনে রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে ১১ শতাংশ।
রেমিটেন্স বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা ডলারের ভালো দর থাকার কথা তুলে ধরেন। টাকার বিনিময়ে পুরো বছরজুড়েই উচ্চ দর মিলেছে। বছর দেড়েক ধরে ডলারের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে। এখন প্রতি ডলারের বিপরীতে ব্যাংক ও মানি ট্রান্সফার এজেন্সিগুলোতে ১২২ থেকে ১২৩ টাকা মিলছে।
পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, দুটি কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে। সেটি হল ডলার বাজার স্থিতিশীল হওয়া ও হুন্ডির প্রবণতা কমা।
তার ভাষ্য, নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে হুন্ডির পথে রেমিটেন্স আনা আগের চেয়ে কমেছে। তাতে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বেশি পাঠাচ্ছে। এ কারণেই রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ছে। এ ছাড়া ডলার দর মার্কেটের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কারণে দর স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
আইএমএফের শর্ত মেনে চলতি বছর মে মাস থেকে ডলার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরপর গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাজারভিত্তিক করা হলেও বর্তমানে ডলারের যা দর রয়েছে, তার থেকে খুব বেশি তারতম্য ঘটবে না।
সূত্র: বিডি নিউজ ২৪