
সংগৃহীত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষকদের জন্য উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষকরা উত্তরপত্র গ্রহণের পর সর্বোচ্চ ২১ দিনের মধ্যে মূল্যায়ন সম্পন্ন করে তা হাতে হাতে প্রধান পরীক্ষকের নিকট জমা দেবেন। একইসঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় সতর্কতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামূল করিমের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষকরা উত্তরপত্র গ্রহণের সময় অবশ্যই বিষয়, কোর্স কোড ও বিষয় কোড যাচাই করবেন। ভুলবশত অন্য কোনো বিষয়ের উত্তরপত্র হাতে এলে তা সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শামীম আহমেদকে জানাতে হবে। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে সেই উত্তরপত্র পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, উত্তরপত্র গ্রহণের পর পরীক্ষকদের প্রধান পরীক্ষককে টেলিফোনে বিষয়টি জানাতে বলা হয়েছে। ওএমআর ফরমের নির্ধারিত ঘরে ও কভার পৃষ্ঠায় কালো বলপেন দিয়ে বিষয় কোড, পরীক্ষক কোড, উত্তরপত্রের ক্রমিক নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বর লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঘরে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
অন্যদিকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় লাল বলপেন ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের পাশে লাল কালি দিয়ে নম্বর লিখতে হবে এবং ভুল উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। উত্তরপত্রের প্রথম পাতায় মোট পাওয়া নম্বরও লাল কালিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ ২১ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং হাতে হাতে প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরীক্ষকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে তা এসএমএস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট