বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিম চাষে লাভবান লক্ষ্মীপুরের চাষিরা!

শিম চাষে লাভবান লক্ষ্মীপুরের চাষিরা!

লক্ষ্মীপুরে শিম চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীপুরের শিম চাষিরা। বর্তমানে শিম চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। এতে লাল সাদা ফুল ও শিমে মাঠ ভরে উঠেছে। জানা যায়, জেলার রামগতি কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও চরাঞ্চলে স্থানীয় ও উন্নত জাতের শিমের চাষ হয়েছে।

বিশেষ করে সদরের লাহারকান্দি, মজুচৌধুরী হাট, টুমচর-শাকচর, চর রমনী মোহন, ভবানীগঞ্জ, পেয়ারাপুর ও সুতার গুপ্টাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলন ভালো হওয়ায় শিম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে শিম চাষে অনেকের ভাগ্য বদলেছে।

কৃষি অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি মৌসমে লক্ষ্মীপুর জেলায় ৪ হাজার ৭৭৭ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯৬ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪শ হেক্টর বেশি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কৃষকরা ব্যাপক ভাবে শিমের চাষ করেছেন। এতে লাল সাদা ফুল ও শিমে মাঠ ভরে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শিম স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

সদরের ভবানীগঞ্জ এলাকার চরউভূতি কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, এবছর আমি ৪০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছি। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে শিম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। ইতোমধ্যে বাজারে ৩৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছি।

সুতারগুপ্টার শিম চাষি রহিমুল ইসলাম বলেন, আমি আমার ১৮ শতাংশ জমিতে শিম লাগিয়েছি। আবহাওয়া অনুকূলে ও কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যা করায় শিমের ভালো ফলন পেয়েছি। ইতোমধ্যে ১০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছি। আশা করছি অন্তত লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবো।

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. জাকির হোসেন বলেন, চলতি বছর অন্যান্য সবজির মধ্যে শিমের উৎপাদন বেশি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল ও কৃষকরা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পরিচর্যা করায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন।

দৈনিক বগুড়া