শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যিকভাবে নাগামরিচ চাষে লাভবান শ্রীমঙ্গলের চাষিরা!

বাণিজ্যিকভাবে নাগামরিচ চাষে লাভবান শ্রীমঙ্গলের চাষিরা!

লাভজনক হওয়ায় আনারস ও লেবুর পরে এখন নাগামরিচ চাষে ঝুঁকছেন শ্রীমঙ্গলের চাষিরা। সারাদেশে এখানকার আনারস ও লেবুর ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এছাড়াও এই অঞ্চলের উৎপাদিত সাতকরা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেরও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে তেমনি এখানকার চাষিদের চাষকৃত নাগামরিচের চাহিদা দেশ পেরিয়ে বিদেশেও রয়েছে।

জানা যায়, চলতি বছর এই অঞ্চলে লেবু, আনারস, কাকরোল ও করলার পাশাপাশি চাষিরা নাগামরিচ চাষে ব্যস্ত রয়েছেন। ছোট ও বড় আকারে বাণিজ্যিকভাবে এই মরিচের চাষ করা হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় উপজেলার দিলবরনগর, মোহাজেরাবাদ, বিষামনি, রাধানগর এবং ডলুছড়া এলাকার চাষিরা এই মরিচের চাষ করছেন। অনেকে আবার লেবু গাছের নিচে ও বাড়ির আশেপাশের পতিত জমিতে এই মরিচের চাষ করছেন। বর্তমানে চাষিরা জমি থেকে মরিচ সংগ্রহ করে তা স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করছেন।

চাষিরা বলেন, এই জাতের মরিচগুলো সুগন্ধি ও ঝালে ভরপুর। ঝল প্রিয় মানুষদের এই মরিচ প্রথম পছন্দের। এখানকার উৎপাদিন নাগামরিচ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের যারা ইউরোপে বসবাস করেন তারা দেশের সাতকরা ও নাগামরিচের আচার খেতে পছন্দ করেন। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের নাগামরিচ রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। তাই এখানকার কৃষকরা নাগামরিচ চাষ আগ্রহী হচ্ছেন।

মোহাজেরাবাদ এলাকার কৃষক আলমগির মিয়া বলেন, আমি গত বছর ১ হাজার নাগামরিচের চারা লাগিয়ে ছিলাম। এই মরিচের চাষে ৭২ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আর প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। এর সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে বেশি ফলন পাওয়া যায় এবং লাভবানও হওয়া যায়।

রাধানগর এলাকার কৃষক শামিম মিয়া বলেন, আমি গত বছর ১৫০০ মরিচের চারা রোপন করে লাভ করেছিলাম। তাই এবছর ৩ হাজার চারা লাগিয়েছি। গত বছর ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। আশা করছি এবারও লাভ করতে পারবো।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, এই জেলায় দিন দিন নাগামরিচের চাষ বাড়বে। পাহাড়ি টিলাগুলোকে এই মরিচ চাষের উপযোগি করে তুলতে হবে। এছাড়াও বর্তমানে এখানকার উৎপাদিত নাগামরিচ দেশের বিক্রির পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।

দৈনিক বগুড়া