
দাদমর্দন আমাদের দেশের সাধারণ মানুষেরা ঔষধি গাছ হিসেবে বহুল ব্যবহার করে থাকে। এই গাছে কোনো সুমিষ্ট ফল হয় না, কাঠও মূল্যহীন। নিতান্তই গুল্মশ্রেণীর গাছ। ময়লার ভাগাড় কিংবা পরিত্যক্ত স্থানে আপনাআপনিই জন্মে। কিন্তু শহরে এর অনেক দাম। বিভিন্ন উদ্যানে রোপণ করা হয় পৌষ্পিক ঐশ্বর্য উপভোগ করতে, না হয় ঔষধি গাছ হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়োজনে। এরা ক্যাশিয়া জাতের ফুল। ক্যাশিয়ার আরেকটি বুনো জাতের নাম কালকাসুন্দা। পথের ধারে ও পাহাড়ে অঢেল দেখা যায়। দাদমর্দন কখনো কখনো ডোবার ধার, খেতের মধ্যবর্তী আল এবং অনাবাদি স্থানেও জন্মায়।
তবে, সবকিছু ছাপিয়ে এই ফুলের নজরকাড়া রূপই আমাদের মন ভরিয়ে দেয়। ইদানীং অবশ্য আলংকারিক পুষ্পবৃক্ষের জন্যই বিভিন্ন উদ্যানে রোপণ করা হচ্ছে। খাড়া পুষ্পদণ্ডে হলুদ সোনালি রঙের অসংখ্য ফুল আপনার মনকে আলোড়িত করবে।
দাদমর্দ্ন এর নানা ধরনের ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। এখন আমরা দাদমর্দন এর ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেব।
দাদমদন এর ভেষজ গুণাগুণ :
চর্মোরোগে :
এই গাছ ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হয় চর্মোরোগে। তবে দাদ ও পাচড়ায় এটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার্য।
দাদ নিরাময় :
দাদের নিরাময়ের জন্য টাটকা পাতার লেই ব্যবহার করা হয়। আবার ঝলসানো পাতাও রেচক।
যৌনরোগ :
যৌনরোগ চিকিৎসায় এবং বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে এই গাছের পাতা সাধারণ টনিক হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
খোস পাঁচড়া চুলকানি নিরাময়ে :
খোসপাচড়া , চুলকানি ইত্যাদি রোগের জন্য এই গাছের পাতার রস বিশেষ ভাবে কাজ করে । খোসপাঁচড়া দাদ চুলকানি হওয়া জায়গায় ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে এক সপ্তাহ লাগালে রোগ নিরাময় হয়।
বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে :
বিষাক্ত পোকা মাকড় কামড় দিলে সেই স্থানে দাদমর্দন গাছ বেটে প্রলেপ দিলে ব্যথা ও ক্ষত ভালো হয়।
দৈনিক বগুড়া