সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

স্বাস্থ সচেতনতা

পুষ্টিবিদের মতে কখন, কীভাবে দুধ খাওয়া সবচেয়ে উপকারী

পুষ্টিবিদের মতে কখন, কীভাবে দুধ খাওয়া সবচেয়ে উপকারী

সংগৃহীত

দুধ আমাদের খাবারের তালিকায় একটা চিরচেনা নাম। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে এসেছি—‘দুধ খেলে হাড্ডি মজবুত হয়’, ‘বুদ্ধি বাড়ে’, ‘শরীর ভালো থাকে’। কিন্তু এখন অনেকেই প্রশ্ন তোলেন—দুধ কি আসলেই এত উপকারী? আর যদি খাই, তাহলে গরম খাবো নাকি ঠান্ডা? কখনই বা খাবো!

এই প্রশ্নটা একেবারে অমূলক নয়। কারণ দুধ নিয়ে নানা রকমের মত রয়েছে। কেউ বলেন, গরম দুধ শরীরের জন্য ভালো, কেউ আবার ঠান্ডা দুধের পক্ষে যুক্তি দেন। তাহলে কোনটা সঠিক? এই বিষয়েই খোলাসা করেছেন কলকাতার পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়। চলুন জেনে নিই কোন অবস্থায় কী ধরনের দুধ খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

পুষ্টির ভাণ্ডার : দুধ হচ্ছে প্রোটিনের ভাণ্ডার। যা সহজেই গ্রহণ করে নেয় শরীর। এ জন্য বলা যেতে পারে নিয়মিত দুধ পান করলে শরীরে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের চাহিদা পূরণ হয়। আবার ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ভিটামিন উপাদান রয়েছে দুধে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত এক গ্লাস করে দুধ পান করতেই পারেন।

ঠান্ডা না গরম দুধ, কোনটি ভালো : এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদ ঈশানী জানিয়েছেন, ঠান্ডা ও গরম দুধ উভয়ই শরীরের জন্য উপকারী। এ জন্য যে কোনো সুস্থ মানুষ চাইলে গরম বা ঠান্ডা দুধ যেকোনোটি পান করতে পারবেন। এতে সমস্যা নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে গরম দুধের তুলনায় ঠান্ডা দুধ পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। সেসব নিচে আলোচনা করা হলো-

পেটের সমস্য : অনেকেরই দুধ পানের পর গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো সমষ্যা হয়। এতে বেশ ভুগতে হয়। কিন্তু তারা যদি ঠান্ডা দুধ পান করেন, তাহলে এই সমস্যার সম্ভাবনা থাকে না। আবার ঠান্ডা দুধ পানে মজুত ক্যালসিয়ামও সহজেই গ্রহণ করে নেয় শরীর। এ কারণেই ঠান্ডা দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

কী পরিমাণ গ্রহণ করা উচিত : একজন সুস্থ মানুষ দিনে ২৫০ এমএল পরিমাণ দুধ পান করতে পারেন। এতে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি দই, ছানা, পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবারও খেতে হবে নিয়ম করে। তাতে ছোট ছোট বিভিন্ন রোগ দূরে থাকবে।

যে কোনো সময় কি দুধ পান করা যাবে : সকাল, বিকেল বা রাত, যে কোনো সময় দুধ পান করা হয়। তবে যারা অনিদ্রার সমস্যায় রয়েছেন, তারা ঘুমানোর আগে দুধ পান করতে পারেন। রাতে দুধ পানে শরীরে মেলাটোনিনের ক্ষরণ বাড়ে। এতে চোখে ভালো ঘুম আসে। এ জন্য রাতে ভালো ঘুমের জন্য খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর দুধ পান করে শুয়ে পড়তে পারেন। তাতে ভালো উপকার পাবেন।

সূত্র: কালবেলা

সর্বশেষ:

শিরোনাম: