শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শৌচালয়ে ফোন ব্যবহার করছেন? হতে পারে প্রাণঘাতী অসুখ

শৌচালয়ে ফোন ব্যবহার করছেন? হতে পারে প্রাণঘাতী অসুখ

 

যুগের সঙ্গে সঙ্গে বদল হয়েছে জীবন চলার পথ। অনেক কঠিন কাজও এখন সহজ হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমও সহজ হয়ে উঠেছে। সবার হাতে হাতে এখন রয়েছে স্মার্টফোন। যা দূরের মানুষের সঙ্গেও যোগাযোগ করার পথকে সহজ করেছে। এক কথায় স্মার্টফোন পুরো দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। 

স্মার্টফোন এখন সব সময়ের সঙ্গী। এমনকি শৌচালয়েও সে সঙ্গ ছাড়ে না। সময় দেখার জন্যই হোক, কিংবা সময় কাটানোর জন্য হোক, অনেকেই ফোন নিয়ে শৌচালয়ে যান। কিন্তু এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। এমনই বলছে গবেষণা।

সম্প্রতি সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গবেষক শৌচালয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল নিয়ে একটি সমীক্ষাপত্র প্রকাশ করেছেন। সেখানে দাবি করা হয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি অস্ট্রেলিয়ার মানুষ এবং ৮০ শতাংশেরও বেশি আমেরিকার মানুষ শৌচালয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। ৬০ শতাংশের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক শৌচালয়ে যান হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে। ভারতীয়রাও দৌড়ে পিছিয়ে নেই। ৭০ শতাংশের বেশি ভারতীয় একই কাজ করেন।

এর ফলে কোন কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে? বিজ্ঞানীরা তারও একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কী কী আছে সেখানে- 

>> স্মার্টফোন হাতে নিয়ে শৌচালয়ে গেলে অজান্তেই অনেকে বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেন। তাতে মলদ্বারে চাপ পড়ে। এতে অর্শের আশঙ্কা বাড়ে।

>> শুধু অর্শই নয়, দীর্ঘক্ষণ শৌচালয়ে বসে থাকার ফলে মলদ্বারের শিরার উপরেও চাপ পড়ে। সেখানেও প্রদাহ হতে পারে। তাতে বাড়ে মলদ্বারের অন্য ধরনের অসুখের আশঙ্কাও।

>> শৌচালয়ের আর্দ্র পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। তার অনেকগুলোই মোবাইল ফোন এবং তার খাপের মাঝ খানে বাসা বাঁধে এবং সংখ্যায় দ্রুত বাড়তে থাকে। পরে এগুলোই ফোনের টাচস্ক্রিনে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ইকোলাইয়ের মতো জীবাণুও থাকে। সেগুলো পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

>> তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সালমোনেল্লার মতো জীবাণু নিয়ে। ফোনে এই জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। এর পরে ফোন ব্যবহারের সময়ে গরম হয়ে যায়। এই উত্তপ্ত পরিবেশে সালমোনেল্লার মতো জীবাণু অতি দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। পরে সেটি ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে থাকে। কারো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হলে এই সংক্রমণগুলো প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

দৈনিক বগুড়া