সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

স্বাস্থ সচেতনতা

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৮ খাবার, বাদ দিন এখনই

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৮ খাবার, বাদ দিন এখনই

সংগৃহীত

অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি এই হৃদরোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ফ্যাট ও কোলেস্টেরল ধমনিতে বাধা তৈরি করে, ফলে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতাও এ ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

বিশেষ করে অতিরিক্ত লবণ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এমন ৯টি খাবারের তালিকা দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা—

১. কোমল পানীয়

পেট ভরে খাওয়ার পর অনেকেই কোমল পানীয় পান করেন। কিন্তু প্রতি ১২ আউন্স সোডাজাতীয় পানীয়তে থাকে প্রায় ১০ চা চামচ চিনি। নিয়মিত এসব পানীয় ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। কৃত্রিম চিনির ব্যবহারের সঙ্গে ক্যানসারেরও সম্পর্ক পাওয়া গেছে।

২. সাদা ব্রেড ও লবণ

সাদা ব্রেডে উচ্চ কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা খেলে হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ে। এর উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে চিনি দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, যা হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক কারণগুলোর একটি। একইভাবে অতিরিক্ত লবণ রক্তনালির ক্ষতি করে এবং ব্লক তৈরি করতে পারে। দিনে ৫ গ্রাম থেকে বেশি লবণ না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৩. প্রক্রিয়াজাত মাংস

সসেজ, হট ডগসহ প্রক্রিয়াজাত মাংসে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও লবণ। গবেষণায় দেখা গেছে, একদিন প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৪২ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।

৪. ফাস্টফুড

চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, উচ্চ কোলেস্টেরল ও প্রচুর ক্যালোরি—সবই থাকে ফাস্টফুডে। এগুলো হার্ট অ্যাটাকজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

৫. পিৎজা

পিৎজায় থাকে ফ্যাট, লবণ ও প্রক্রিয়াজাত মাংস। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি হওয়ায় এটি হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।

৬. আইসক্রিম

পরিশোধিত চিনি, ফ্যাটযুক্ত দুধ ও কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ আইসক্রিম ক্যালোরির মাত্রা বাড়ায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি করে।

৭. কলিজা, মগজ, হাড়ের মজ্জা

কলিজা, মগজ, হাড়ের মজ্জা—এই অংশগুলোতে বেশি পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে। তাই যারা হৃদরোগী তাদের কলিজা, মগজ বা নেহারি জাতীয় খাবার বর্জন করা উচিত।

৮. মাছের মাথা-ডিম

রক্তের লিপিড প্রোফাইল বাড়িয়ে দেয় যে উপাদানগুলো, সেই এলডিএল বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের উৎস হচ্ছে মাছের মাথা বা মাছের ডিম।

শেষ কথা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চার মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলেই কমানো যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।

সূত্র : হার্ভার্ড হেল্থ, কোয়ান্টাম মেথড, ওয়েবএমডি

সূত্র: কালবেলা

সর্বশেষ:

শিরোনাম: