সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

খরা কাটাতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা ইরানের, কীভাবে কাজ করে এটি?

খরা কাটাতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা ইরানের, কীভাবে কাজ করে এটি?

সংগৃহীত

ইরানের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে স্মরণকালের চরম খরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃত্রিক বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা করছে দেশটি। বার্তাসংস্থা ইরনাকে দেশটির এক কর্মকর্তা গতকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) বলেন, “উর্মিয়া লেকের অববাহিকায় কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর একটি একটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। যা বর্তমান পানি বছরের প্রথম ফ্লাইট ছিল।”

উর্মিয়া ইরানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি দেশটির সবচেয়ে বড় লেক। কিন্তু অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে লেকের বেশিরভাগ অংশ শুকিয়ে গেছে।

কৃত্রিম বৃষ্টি যেভাবে ঝরানো হয়

কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর পদ্ধতিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় ‌‘ক্লাউড সিডিং’ বলা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো মেঘের মধ্যে থাকা জলীয় বাষ্পকে দ্রুত বৃষ্টির ফোঁটায় পরিণত করে মাটিতে ঝরিয়ে আনা। এটি সাধারণত তিনটি ধাপে করা হয়।

১. রাসায়নিক ব্যবহার

উপযুক্ত মেঘপুঞ্জ লক্ষ্য করে বিমান বা রকেটের মাধ্যমে সিলভার আয়োডাইড, শুষ্ক বরফ অথবা লবণের মতো রাসায়নিক পদার্থ মেঘের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

২. ঘনীভবন প্রক্রিয়া

মেঘের মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র জলকণাগুলো বাষ্পাকারে ভেসে থাকে। যখন সিলভার আয়োডাইডের স্ফটিক দানাগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন এই দানাগুলো জলকণাগুলোকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। জলীয় বাষ্প দ্রুত এই স্ফটিক দানাগুলোর চারপাশে জমা হতে থাকে। একে ঘনীভবন বলা হয়।

৩. বৃষ্টিপাত

এই ঘনীভবনের ফলে জলকণাগুলো একত্রিত হয়ে দ্রুত বড় এবং ভারী ফোঁটায় পরিণত হয়। একসময় জলীয় ফোঁটাগুলোর ওজন এত বেড়ে যায় যে, তারা আর বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না। তখন মহাকর্ষের টানে বৃষ্টি হিসেবে নিচে ঝরে পড়ে।

সূত্র: ঢাকা পোষ্ট

সর্বশেষ:

শিরোনাম: