প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। করোনাসহ অন্যান্য ভাইরাসও প্রথমে মুখ দিয়েই শরীরে প্রবেশ করে থাকে।
আর এ কারণেই হাঁচি-কাশির সময় অন্যের কাছ থেকে দূরে থাকা বা মুখে রুমাল ব্যবহার করা উচিত। করোনা ঠেকাতে হয়ত সবাই নিয়মিত হাত ঠিকই পরিষ্কার করছি। তবে মুখের যত্ন নিচ্ছি তো?
বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গেছে, মুখের ভিতরে থাকা লালাগ্রন্থিতে কোভিড-১৯ ভাইরাস চুপচাপ বসে থাকে। সেই সময় আক্রান্তের শরীরে কোনো উপসর্গই প্রকাশ পায় না। এই অবস্থায় ভাইরাস বহনকারী ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, কথা বলার সময় ড্রপলেটের মাধ্যমে অসুখ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ভারতীয় ডেন্টাল সার্জন শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে কোভিড-১৯ ভাইরাসকে কিছুটা প্রতিহত করা সম্ভব। এই সময় কোনো ডেন্টাল চেম্বারেও যাওয়া ঠিক নয়। অনেক সময় উপসর্গহীন রোগীর কাছ থেকেও চিকিৎসকের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তিনি জানান, এই সময় মুখগহ্বরের বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত। কীভাবে মুখ ও দাঁতের যত্ন নিতে হবে জেনে নিন-
> দিনে দুইবার ব্রাশ করুন। ১৫ দিন অন্তর ব্রাশ পাল্টে ফেলুন।
> বাইরে গেলে ঘরে ফেরার পর অবশ্যই গরম পানি ও লবণ দিয়ে কুলকুচি বা গার্গেল করে নিন।
> দিনে দুইবার মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। নতুন এক গবেষণা বলছে, মাউথ ওয়াশ করোনা ধ্বংস করতে পারে!
> কোভিড-১৯ সংক্রমণের উপসর্গ হিসেবে মুখের ভিতরে, জিভে বা ঠোঁটে আলসার হতে পারে। তবে মুখে আলসার মানেই কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ভেবে আতঙ্কিত হবেন না।
> স্বাদ ও গন্ধ বোধ কমে যাওয়ার সঙ্গে কোভিড-১৯ এর সম্পর্ক রয়েছে। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
> অযথা মুখে বা দাঁতে হাত কিংবা টুথপিক ব্যবহার করবেন না।
> দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থাকলে এখনই সতর্ক হয়ে যান।
> যে কোনো খাবার খাওয়ার পর ভালো করে কুলকুচি করে নিন।
> যখন-তখন মুখে বা দাঁতে হাত দেবেন না।
> ব্রাশ রাখুন পরিষ্কার জায়গায়। পরিবারের সবার ব্রাশ একসঙ্গে রাখা খুবই বিপজ্জনক। ব্রাশে ক্যাপ লাগিয়ে রাখতে পারলে ভালো হয়।
> খাবার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ও মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
> এই সময় দাঁত বা মাড়িতে কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দৈনিক বগুড়া