সকালে উঠে অনেকে সময়ই দেখা দেয় রান্না করতে ইচ্ছা করে না বা প্রতিদিনের নাস্তায় একই রকম খাবার খেতে ইচ্ছা হয় না। সেক্ষেত্রে নাস্তায় আনতে পারেন ভিন্নতা। এতে যেমন স্বাদে ভিন্নতা আসবে সেই সাথে খাওয়ার রুচিও বাড়বে। সকালের নাস্তায় মাঝেমধ্যে বানাতে পারেন স্যান্ডইউচ। এতে যেমন পুষ্টিগুণ থাকে তেমন খেতেও সুস্বাদু। তবে বাইরে থেকে কেনা স্যান্ডউইচের পরিবর্তে বাসায় স্যান্ডউইচ বানানোর চেষ্টা করুন।
ডিম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাদ্য। একে প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউসও বলা হয়ে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সের জন্য ডিম একটি অত্যন্ত উপাদেয় খাদ্য। একটি ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে । যার থেকে ৭৭ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন পাওয়া যায় । ডিম দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায় এবং খিদে মেটায়। সকালের নাস্তায় একটি ডিম সারা দিনের পুষ্টি চাহিদা অনেকটুকু পূরণ করতে সহায়তা করে।
শরীরের গঠন ও ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যকীয়। এ ছাড়া প্রোটিন বিভিন্ন অঙ্গ, ত্বক, চুল এবং শরীরের বিভিন্ন টিস্যু পুনর্গঠনে সহায়তা করে। ভিটামিন ডির একটি ভালো খাদ্য উৎস হচ্ছে ডিম। ভিটামিন ডি হাড় এবং দাঁত সুস্থ ও মজবুত করে, সাধারণত এক বছর বয়সের পর থেকে শিশুকে ডিম খাওয়ানো শুরু করতে হয়। ডিমে থাকা প্রোটিন শিশুর দেহের ক্ষয়পূরণ ও সঠিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। ডিমের কুসুমে কোলিন থাকে, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওমলেট স্যান্ডউইচ বানাতে কী কী উপকরণ লাগবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ
ডিম-২টো
পেঁয়াজ কুঁচি-১টা
কাঁচামরিচ কুঁচি-১টা
লাল মরিচের গুঁড়া-১/২ টেবিল চামচ
গোলমরিচ-১/২ টেবিল চামচ
লবণ-স্বাদ মতো
পদ্ধতি
স্টেপ ১
একটি পাত্রে দুটো ডিম ভেঙে রেখে দিন।
স্টেপ ২
ওই ডিমের মধ্যে কাটা পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচা মরিচ কুঁচি, লাল মরিচের গুঁড়ো, গোলমরিচ এবং পরিমাণমতো লবণ দিন।
স্টেপ ৩
এবার ভালো করে ফেটিয়ে এবং একটি প্যানে একটি ওমলেট তৈরি করে নিন।
স্টেপ ৪
ডিমের একদিক হয়ে গেলে, সাবধানে উল্টিয়ে অন্য পাশটা করুন।
স্টেপ ৫
এরপর অল্প মাখন নিয়ে পাউরুটি টোস্ট করে নিন। মাখনে প্রয়োজনীয় ভিটামিন থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।
স্টেপ ৬
ডিম তৈরি হয়ে গেলে টোস্টের উপর ডিম দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিন। মাঝখান থেকে থেকে স্সাইস করে নিন।
উপভোগ করুন মজাদান স্বাদের স্যান্ডউইচ।
দৈনিক বগুড়া