শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দেশে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বাড়ছে যেসব কারণে, কী লাভ এতে

দেশে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বাড়ছে যেসব কারণে, কী লাভ এতে

সংগৃহীত

ঘুম বড় না সম্পর্ক? অনেকের কাছে সম্পর্কের চেয়েও বড় হয়ে যায় ঘুম! কারণ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেই সম্পর্কে তৈরি হয় সমস্যা, সেখান থেকে বিচ্ছেদ। তাহলে এবার উপায়? এই সমস্যা সমাধান করার জন্যই বাংলাদেশেও ‘স্লিপ ডিভোর্স’ নামের এক পন্থা বেছে নিয়েছেন বহু দম্পতি।

প্রেম আর বিয়ে দুটো একেবারেই আলাদা জিনিস। প্রেম করার সময় সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর সবকিছুই সুন্দর লাগে, কিন্তু বিয়ের পর অনেক কিছুই পাল্টে যায়। তেমনি একই সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমানোর সময় অনেক রকম সমস্যা তৈরি হয়। এই সমস্যা এড়ানোর জন্যই আলাদা ঘরে আলাদা বিছানায় ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নেন দম্পতিরা, আর তাকেই বলা হয় স্লিপ ডিভোর্স।

কেন এই সিদ্ধান্ত?

দম্পতিদের মধ্যে অনেক সময় দেখা যায় একজন বেজায় নাক ডাকেন তো অন্যজন মাঝরাতে উঠে বসে থাকেন। দুই সঙ্গীর মধ্যে একজনের স্লিপ সাইকেল অন্যজনের সঙ্গে যদি না মেলে, তখনই একে অপরকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন তারা। এই সমস্যার সমাধানের জন্যই নেওয়া হয়েছে স্লিপ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত।

স্লিপ ডিভোর্স মানে যে দম্পতির একে অপরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তা কিন্তু নয়। শুধু রাতেই পর্যাপ্ত ঘুমের তাগিদে এই সিদ্ধান্ত নেন দম্পতিরা। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলে একদিকে যেমন রোগের আশঙ্কা কমে যায়, তেমন অন্যদিকে জীবনের মান অনেক উন্নত হয়। সম্পর্কে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মানও বাড়ে। তাই স্লিপ ডিভোর্সকে নেতিবাচক হিসাবে নয়, বরং দেখতে হবে ইতিবাচক দিক থেকে।

শুনতে অবাক শোনালেও বাস্তবতা হলো, আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মনোমালিন্য হলে মনোবিদেরা কয়েক দিন আলাদা ঘুমানোর পরামর্শ দেন। সহজেই আপনি এতে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সংঘাতের মানসিক যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

কত দিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত?

অনেকেই আছেন যারা এক মাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেন অনেকে আবার এক সপ্তাহের জন্য। অনেকেই আবার সারা জীবনের জন্য স্থায়ীভাবে এই পন্থা অবলম্বন করতে ভালোবাসেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে দুজনের ঘুমের জায়গা এবং সময় দুটোই আরামদায়ক হয় ফলে দম্পতির দুজনেরই শরীর সুস্থ এবং সবল থাকে।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: