
সংগৃহীত
দিনের বেলায় অনেক সময়ই চোখ ভারী হয়ে আসে, হাই ওঠে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হয়। আবার এমনও হয় যে অফিসে কাজ করার ফাঁকে চোখ খুলে রাখা দায় হয়ে যাচ্ছে। কাজে বারবার ভুল হচ্ছে! অনেকেই মনে করেন এটি রাতের পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে হচ্ছে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র ঘুম নয়, আমাদের খাবার এবং জীবনধারা এই সমস্যার প্রধান কারণ।
দিনের বেলায় ঘুমের প্রধান কারণ
১. খাবারের ধরন– অতিরিক্ত পরিমাণে ভাজা, মিষ্টি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার ওঠানামা হয়, যা শরীরকে ক্লান্ত করে তোলে।
২. অনিয়মিত ঘুম, কম শরীরচর্চা এবং দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার অভ্যাস দিনের বেলায় ঝিমুনি বাড়ায়।
৩. ডিহাইড্রেশন–পর্যাপ্ত পানি না খেলে শরীর ক্লান্ত হয় এবং চোখে ঘুম ঘুম লাগে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার দিনের বেলায় অলসতা বাড়ায়। যেমন, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট বা পাস্তা, পিৎজা, রুটি, ময়দার তৈরি খাবার। মিষ্টি ও সফট ড্রিংকস হঠাৎ এনার্জি দিলেও পরে রক্তে শর্করা কমিয়ে ক্লান্তি আনে। ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার হজম হতে সময় নেয়, পেট ভারী করে তোলে এবং ঘুম আনে। আচার বা অতিরিক্ত নোনতা খাবার শরীরকে ডিহাইড্রেট করে ক্লান্তি বাড়ায়। ট্রিপটোফ্যানযুক্ত খাবার যেমন ওটস, বাদাম, টোফু, কলা, অ্যাভোকাডো রাতে ভালো হলেও দিনে খেলে ঘুম বাড়াতে পারে।
অফিস, ক্লাস বা কাজের সময় ঘুমিয়ে পড়া শুধু উৎপাদনশীলতাই কমায় না, গবেষণায় দেখা গেছে এটি দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, স্থূলতা এমনকী অকাল মৃত্যুর ঝুঁকির সঙ্গেও সম্পর্কিত। তাই এসব থেকে মুক্তি পেতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। যেমন ভাজা, মিষ্টি ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমান। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন। শরীরচর্চা করুন, প্রতিদিন অল্প হাঁটা বা ব্যায়াম রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। স্মার্ট স্ন্যাকস বেছে নিন। বাদাম, ফল বা দই দিনের ক্লান্তি কমাতে সহায়ক। রাতের ঘুম নিয়মিত করুন। প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমান।
দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর পেছনে খাবার এবং জীবনধারার বড় ভূমিকা আছে। কিছু খাবার এড়িয়ে চলা, পর্যাপ্ত পানি পান, ব্যায়াম ও নিয়মিত ঘুম আপনাকে দিনের সময় সতেজ রাখবে এবং দিনের বেলার ঝিমুনি থেকে মুক্তি দেবে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট