
সংগৃহীত
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ৪০টিরও বেশি ভূমিহীন পরিবারের সরকারি খাস জমি আওয়ামী সরকার শাসন আমলে ভূয়া দলিল তৈরী করে ৪৩ বছর ধরে ভোগ করে আসা বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা চেষ্টা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সকাল ১১টায় শেরপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
ভূ-সম্পত্তি জবরদখল ও মিথ্যা মামলার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে গ্রামের নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে তারা শেরপুর উপজেলা নির্বাহী ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কোব্বাত, খুশি বেগম বলেন, তারা শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কদিমুকুন্দ মৌজার হাটদীঘি পুকুরপাড় গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ৪৩ বছর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এসে এই হাটদীঘি পুকুর পারে এসে বসবাস শুরু করে। সেই থেকে ভূমিহীন ভাবে পুকুরপাড়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। স্থানীয় প্রভাবশালী সুবাস চন্দ্র মাহাতো পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছেন। কিছুদিন পূর্বে তারা অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়ে পুকুর দখল নিতে গেলে সংর্ঘর্ষ হয়। এতে আমারা ভূমিহীন প্রায় ১৫জন গুরুতর আহত হয়। পরবর্তী আবার রাতের আধারে তারা আমাদের বাড়িতে আগুন দিয়ে আমাদের হত্যার চেষ্টা করে। এছাড়াও উচ্ছেদের জন্য প্রভাবশালী মহল একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।
মানববন্ধনে আসা নাসির উদ্দিন, কোহিনুরসহ অনেকে বলেন, অবিলম্বে পরিবারগুলোর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দাবি করেন, ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা। দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা। দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্তদের ফিরিয়ে দেওয়া।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পরিবারগুলো প্রশাসনের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে তাদের হয়রানিমুক্ত জীবন নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।