সংগৃহীত
কাতার বিশ্বকাপে দাপুটে ফুটবল খেলে সেমিফাইনালে উঠেছিল আফ্রিকার দেশ মরক্কো। তবে শক্তিশালী ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় তারা। তাতে কি, ফুটবল বিশ্বে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেয় তারা। একই সঙ্গে নতুনের এক বার্তাও দিয়েছে দ্য আটলাস লায়ন্সরা।
২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ চূড়ান্ত হয়েছে। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর আগামী আসরটি বসবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। তবে পরের আসর অর্থাৎ ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে চলছে ব্যাপক লড়াই। আয়োজক হওয়ার দৌড়ে রয়েছে পর্তুগাল, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং মরক্কো।
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাকে চমক দেখাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে মরক্কো ফুটবল ফেডারেশন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে দেশটি। যেখানে একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন ১ লাখ ১৫ হাজার সমর্থক। স্টেডিয়ামটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
২০৩০ বিশ্বকাপের সূচি এখনো ঠিক হয়নি। চূড়ান্ত হয়নি ফাইনালের ভেন্যুও। তবে মরক্কো পরিকল্পনা করছে, ২০৩০ বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজনের। সে লক্ষ্যেই তারা নির্মাণ করছে নতুন এক স্টেডিয়াম। যে ভেন্যুতে মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন ১ লাখ ১৫ হাজার দর্শক।
মরক্কোর ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামটি নির্মিত হচ্ছে নর্থ ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে বেন্সলিমান প্রভিন্সের এল মানসুরিয়া শহরে। যেখানে ১০০ হেক্টর জমির উপর নির্মাণ হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। গ্র্যান্ড স্তাদে দি কাসাব্লাঙ্কা নামের স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হবে মরক্কোর ঐতিহ্য মেনেই।
অত্যাধুনিক এই স্টেডিয়ামে থাকবে আলাদা অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক, ইনডোর সুইমিং পুল, শপিং সেন্টার ও পাঁচ তারকা হোটেল। যা পূরণ করবে ফিফার সব শর্ত।
জানা গেছে, ২০৩০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে তিন মহাদেশের ৬ দেশে। যা আগে কখনোই হয়নি। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী ম্যাচগুলো হবে দক্ষিণ আমেরিকার তিন দেশ আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে। আর মূল অংশের আয়োজক ইউরোপের স্পেন-পর্তুগাল ও আফ্রিকার মরক্কো।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ