
সংগৃহীত
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চলনবিলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করা হবে। রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। সভায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
তিনি জানান, আইন-কানুন মেনেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনুমোদনের ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দেওয়া হয়। এগুলো হলো পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র লাগবে এবং প্রকল্পটি যখন বাস্তবায়িত হবে তখন পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন মনিটরিং করবেন। যাতে পরিবেশের ক্ষতি খুব বেশি না হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে কোনো প্রকল্প করতে গেলেই পরিবেশের কিছু না কিছু ক্ষতি হবেই। আমাদের চেষ্টা করতে হবে কতটা কম ক্ষতি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার। সেই সঙ্গে কিভাবে পরিবেশ সম্মত পদ্ধতিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়, সেটি ভাবতে হবে। তবে বিকল্প থাকলে সেটিও চিন্তা করা দরকার। তবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব ক্যাম্পাস খুবই প্রয়োজন। এটির ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত থাকলে ভালো হতো।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যেহেতু জাতীয় নির্বাচন সেহেতু ডিসেস্বর, জানুয়ারির আগেই এডিপি সংশোধন করা হবে।আমরা আগামী সরকারকে বাজেটের একটা রূপরেখা দিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, চিনি শিল্প ও ইক্ষু চাষের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার মন্ত্রণালয় থেকে একটা সমীক্ষা করা হবে। সে হিসেবে ভবিষ্যতে কর্মপন্থা নির্ধারণ হবে। তবে সব চিনিকল সংস্কার হবে না৷ দু'একটি রেখে বাকিগুলো অন্য কোন কাজে লাগানো হবে।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ওয়াসার ভূ-উপরিস্থ পানি সরবরাহ প্রকল্পটিতে আমাদের ধারনা অনিয়ম রয়েছে৷ সেই সঙ্গে আছে ভুল পরিকল্পনা ও সমন্বয়হীনতা। এগুলো খতিয়ে দেখতে আইএমইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজধানীতে মেট্রোরেল লাইন ৫ এর নর্থ ও সাউথ অংশে অনেক বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে৷ কিন্তু এখানে আমরা দুর্বল। কিছু করতে পারছি না। কারণ জাইকার সঙ্গে ঋণ চুক্তি হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। সেখানে কিছু করার নেই। তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে কিছু করা যায় কিনা।
তিনি জানান, দেশের ৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের প্রকল্প পাশ করা হয়েছে৷ তবে বলা হয়েছে ডাক্তার ও জনবল যাতে আগেই নিয়োগ দেওয়া হয়। সেটি না হলে সুন্দর বিল্ডিং হবে, যন্ত্রপাতি আসবে। কিন্তু জনবলের অভাবে দিনের পর দিন পড়ে থেকে নষ্ট হবে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট