
সংগৃহীত
কুমড়ার বীজ ছোট হতে পারে, কিন্তু এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর যা আমাদের শরীরের ওপর বেশ উপকারী প্রভাব ফেলে। সালাদে যোগ করা হোক, ওটস এবং দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হোক বা কেবল হালকা নাস্তা হিসেবে খাওয়া হোক না কেন, এই বীজ প্রতিদিন আমাদের শরীরকে পুষ্টি জোগায়। এই ছোট্ট সুপারফুড আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যোগ করা জরুরি। কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মানসিক চাপ কমায়
কুমড়ার বীজ অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যানের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা প্রোটিন উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং সেরোটোনিন তৈরিতে কাজ করে, একটি মস্তিষ্কের রাসায়নিক যা মেজাজ এবং ঘুম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কুমড়ার বীজে ম্যাগনেসিয়ামও থাকে, যা চাপ এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে
বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে, ক্যালসিয়াম হাড়ের শক্তির চাবিকাঠি, কিন্তু ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসও দুটি দুর্দান্ত পুষ্টি উপাদান। কুমড়ার বীজে তিনটিই থাকে। এগুলো সবই হাড়ের ঘনত্বকে শক্তিশালী রাখে এবং হাড়ের সমস্যার সম্ভাবনা দূর করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির প্রয়োজন হয়। কুমড়ার বীজ শক্তিশালী বিপাকীয় কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে কাজ করে। এই বীজে জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। যদি কেউ সারা বছর সুস্থ থাকতে চান, তাহলে খাদ্যতালিকায় কুমড়ার বীজ রাখুন।
হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো
কুমড়ার বীজ স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা সবই হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। বীজ আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং সামগ্রিক রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে কাজ করে। আমাদের খাবারে এই বীজ রাখা মানে হৃদযন্ত্রের যত্ন নেওয়া।
ত্বক এবং চোখের জন্য ভালো
আমরা সকলেই জানি যে আমাদের চোখ এবং ত্বকের জন্য ভিটামিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কুমড়ার বীজে প্রচুর ভিটামিন ই, ক্যারোটিনয়েড এবং জিঙ্ক থাকে, যা আমাদের চোখ এবং ত্বককে রক্ষা করে। ভিটামিন ই স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখে এবং বার্ধক্যের ছাপ ধীর করে। ক্যারোটিনয়েড দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং ধীরে ধীরে চোখের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
উচ্চ প্রোটিন এবং ফাইবারের কারণে কুমড়ার বীজ রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের পাশাপাশি যারা শক্তির ঘাটতি রোধ করতে চান তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট