
সংগৃহীত
রসুনের উপকারিতা নিয়ে কথা বললে তালিকা শেষ হয় না। এটি যেমন কোলেস্টেরল কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি হজমেও সহায়তা করে। তবে এই উপকারের মাঝেও সব মানুষের জন্য রসুন খাওয়া নিরাপদ নয়।
কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থা বা রোগ থাকলে রসুন খাওয়া উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে।
চলুন দেখে নিই, কাদের রসুন খাওয়া থেকে সাবধান থাকা উচিত।
১. রক্তচাপ কম হলে রসুন নয়
রসুন স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের রক্তচাপ এরই মধ্যে কম, বা প্রায়ই মাথা ঘোরানো, দুর্বল লাগা, হাই প্রেশার থেকে লোতে চলে আসে—তাদের জন্য রসুন হতে পারে বিপজ্জনক।
এমন অবস্থায় রসুন খেলে ব্লাড প্রেশার আরও নিচে নেমে যেতে পারে।
২. রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) থাকলে সাবধান
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকলে রসুনের ‘উষ্ণ প্রকৃতি’ দেহে জ্বালা তৈরি করতে পারে। এতে দুর্বলতা বা মাথা ঘোরা বাড়তে পারে।
৩. গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে
যাদের বুক জ্বালা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাসে পেট ফাঁপার সমস্যা আছে, তাদের জন্য কাঁচা রসুন হতে পারে খুবই বিরক্তিকর। এটি পাকস্থলীতে জ্বালা বাড়াতে পারে, বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
৪. ডায়রিয়ায় ভুগলে রসুন বাদ দিন
রসুনে রয়েছে তীব্র উষ্ণতা ও অ্যালিসিন নামের এক উপাদান, যা পেট গরম করে এবং হজমে সমস্যা বাড়ায়। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার সময় রসুন খেলে অতিরিক্ত পেট ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত রসুন খেলে আরও কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন:
- মুখে দুর্গন্ধ বা গন্ধযুক্ত ঘাম
- হজমের গোলমাল
- অ্যালার্জির সমস্যা (বিশেষত কারও রসুনে এলার্জি থাকলে)
- ওষুধের সঙ্গে পারস্পরিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া (যেমন ব্লাড থিনার)
তাহলে কী করবেন?
- যদি আপনার উপরের যে কোনো সমস্যা থাকে, রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- রান্না করা রসুন অনেক সময় কম ক্ষতিকর হলেও, কাঁচা রসুন সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
- শুরুতেই বেশি পরিমাণ না খেয়ে অল্প করে খাওয়া শুরু করুন।
রসুন যতই উপকারী হোক, সবার শরীর একরকম নয়। কারও শরীরে সেটি ওষুধের মতো কাজ করে, কারও শরীরে আবার বাড়ায় সমস্যা। তাই রসুন খাওয়ার আগে নিজের শরীর বুঝুন, উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয়।
সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সূত্র: কালবেলা