
সংগৃহীত
দেশের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মাইওয়ান বাজারজাত করছে নতুন প্রজন্মের ১.৫ ও ২.০ টন দুটি ইনভার্টার এসি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এনার্জি সেভিং ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি এই এসি দ্রুত ও কার্যকর কুলিং প্রদানের পাশাপাশি ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।
সম্প্রতি মিনিস্টারের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মডেল দুটির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, নির্বাহী পরিচালক মো. ইসহাক জোয়ার্দ্দার, শো-রুম চ্যানেলের পরিচালক মো. মাহমুদুর রহমান খান এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সব ঋতুতেই নিরবচ্ছিন্ন শীতলতা ও আরামদায়ক পরিবেশের অনুভূতি দিতে মাইওয়ান ইনভার্টার এসি দুটিতে রয়েছে ১৬°C থেকে ৪৩°C পর্যন্ত অপারেশন টেম্পারেচার রেঞ্জের সুবিধা। নতুন এই ইনভার্টার এসি দুটিতে ব্যবহৃত হয়েছ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কম্প্রেসার, যা ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে গতি পরিবর্তিত হবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মাইওয়ান ইনভার্টার এসিতে ব্যবহার করছে বিশ্বস্বীকৃত প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের কম্প্রেসর, যা দীর্ঘস্থায়ী, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং উচ্চ কার্যক্ষমতার জন্য জনপ্রিয়।
মাইওয়ান ১.৫ টন এসিতে রয়েছে Rotary Inverter HIGHLY Brand Compressor। এই কম্প্রেসর টেকসই পারফরম্যান্সের পাশাপাশি শব্দহীন ও মসৃণভাবে কাজ করে, যা দীর্ঘসময় ব্যবহার করলেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।
অন্যদিকে মাইওয়ান ২.০ টন ইনভার্টার এসিতে রয়েছে Rotary Inverter GMCC Brand Compressor। আন্তর্জাতিকমানের এই প্রযুক্তি খুব অল্প সময়ে দ্রুত কুলিং নিশ্চিত করে, ফলে গরমের মধ্যে ব্যবহারকারীরা পাবেন তাৎক্ষণিক স্বস্তি।
এছাড়াও মাইওয়ান ইনভার্টার এই এসি দুটিতে ব্যবহার করা হয়েছে R-410A পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট। পরিবেশের জন্য নিরাপদ এই রেফ্রিজারেন্ট এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর Zero Ozone Depletion Potential (ODP) অর্থাৎ এটি ওজোন স্তরের কোনো ক্ষতি করে না। এসি দুটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হলো : এই এসি দুটিতে প্রায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।
বাজারে প্রচলিত অন্যান্য এসির তুলনায় মাইওয়ান ইনভার্টার এসির নতুন মডেল দুটি দিচ্ছে ১০০ শতাংশ বিটিইউ এর নিশ্চয়তা। ১.৫ টন ইনভার্টার এসি সরবরাহ করছে ১৮,০০০ বিটিইউ এবং ২.০ টন ইনভার্টার এসি দিচ্ছে ২৪,০০০ বিটিইউ শীতলীকরণ ক্ষমতা, যা মাঝারি ও বড় আকারের রুম বা অফিস স্পেস দ্রুত ও কার্যকরভাবে ঠান্ডা করতে সক্ষম।
মাইওয়ানের ইনভার্টার এসি দুটিতে যুক্ত করেছে এমন পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেম, যা ভোল্টেজের ওঠানামাতেও নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। এসি দুটির উভয় মডেলই 1Ph/150-260V/50Hz পাওয়ার রেঞ্জে কার্যকরভাবে কাজ করতে সক্ষম। ফলে বিদ্যুতের ভোল্টেজ উঠানামাতেও কোনো সমস্যা হয় না।
এতে আরও রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গোল্ডেন ও হাইড্রোফিলিক ফিন। বিশেষ এই ফিন প্রযুক্তি এসির কনডেনসারকে মরিচা ও ক্ষয় থেকে সুরক্ষা দেয়।
এই মডেল দুটিতে রয়েছে হাই, মিড এবং লো তিন ধরনের ফ্যান স্পিড কন্ট্রোলের মাধ্যমে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে পড়বে আপনার ঘরের প্রতিটি কোনায় কোনায়। পাশাপাশি ইন্ডোর ইউনিটের শব্দমাত্রা কম হওয়ায় ব্যবহারকারীরা নীরব ও আরামদায়ক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।
মাইওয়ান কর্তৃপক্ষ আরো জানান উন্নত প্রযুক্তি, এনার্জি সেভিং এবং প্রিমিয়াম কুলিং অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে মাইওয়ান ১.৫ ও ২.০ টন ইনভার্টার এসি দেশের এয়ার কন্ডিশনার বাজারে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। অফিস কিংবা বাসগৃহ দুই ক্ষেত্রেই এটি ব্যাবহারযোগ্য। এছাড়াও এসি দুটির কম্প্রেসার তাপমাত্রা অনুযায়ী নিজের স্পিড অ্যাডজাস্ট করে নেয়। ফলে ঘর হবে দ্রুত ঠান্ডা, বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, আর শব্দ হবে একদম ন্যূনতম।
এয়ারকন্ডিশনার দুটি এখন দেশের সকল মিনিস্টার শোরুমসহ ও অনুমোদিত ডিলার শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র: কালবেলা