সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

অটোমোবাইল

Pulsar N250 নাকি Gixxer 250, কোনটি সেরা?

Pulsar N250 নাকি Gixxer 250, কোনটি সেরা?

সংগৃহীত

২৫০ সিসি সেগমেন্টে বাংলাদেশের বাইকপ্রেমীদের নজরে এখন দুটি বাইক— Suzuki Gixxer 250 আর Bajaj Pulsar N250। যারা বাইকের দুনিয়ায় নতুন, কিংবা আপগ্রেডের কথা ভাবছেন, তাদের কাছে এই মডেল দুটি হতে পারে ভালো অপশন। তবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত হবে, সেটা নির্ভর করবে কোন ফিচারস আপনাকে বেশি টানে, তার ওপর। চলুন এবার খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক বাইক দুটি সম্বন্ধে।

যদি ইঞ্জিন পারফর্মেন্স এর প্রসঙ্গ আনা হয়, তাহলে প্রথম নামটা আসছে Suzuki Gixxer 250 এর। বাইকটির ইঞ্জিন ক্ষমতা ২৬.৫ হর্স পাওয়ারের, আর সর্বোচ্চ টর্ক ২২.২০ এনএম; যেখানে Bajaj Pulsar N250 ২৪.২০ হর্স পাওয়ার আর ২১.৫ এনএম টর্ক প্রদান করে। অর্থাৎ, যদি আপনি কিছুটা বেশি গতি এবং টর্কের সুবিধা চান, তবে Gixxer 250 আপনাকে এমনই এক উত্তেজনা দিতে পারে। কোম্পানির দাবি অনুসারে, এটির টপ স্পিড প্রায় ১৪০ কিমি/ঘণ্টা। যদিও বাইকারদের অনেকে বাইকটির গতি ১৪৮ পর্যন্তও পেয়েছে।

সেদিক থেকে সামান্য পিছিয়ে Pulsar N250, যার কোম্পানির দাবি অনুসারে টপ স্পিড ১৩৫ কিমি/ঘণ্টা। একইভাবে অন্যান্য বাইকাররা এই বাইকটি থেকে সর্বোচ্চ গতি ১৪০ পর্যন্তও তুলেছে।

তবে দুটি বাইকের গিয়ারবক্সে পার্থক্য রয়েছে। Suzuki Gixxer 250-এ থাকছে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স, আর Pulsar N250-এ আছে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স—অর্থাৎ একটা কম। তবে দৈনন্দিন রাইডিং কিংবা শহরের ভিড়ের ভেতর চলাচলে এতে পারফরম্যান্সে খুব বেশি পার্থক্য টের পাওয়া যায় না।

মাইলেজের দিক থেকে উভয় বাইকই প্রায় সমান। শহরে ৩৫ কিমি/লিটার, হাইওয়েতে ৪০ কিমি/লিটার। অর্থাৎ দৈনিক ব্যবহার বা লং রাইডের জন্য দুটোই কার্যকর। সেফটির ক্ষেত্রে, ডুয়াল চ্যানেল ABS ও টিউবলেস টায়ার উভয় বাইকেই আছে। তাই হাইওয়েতেও ব্রেকিং নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।

সিটের উচ্চতা আর ওজনের দিক থেকে Gixxer 250 সামান্য সুবিধাজনক। এর সিটের উচ্চতা ৮০০ মিমি, আর ওজন ১৫৬ কেজি। এদিকে Pulsar N250 এর সিট ৭৯৫ মিমি, ওজন ১৬২ কেজি। অর্থাৎ দীর্ঘ রাইডে Gixxer 250 কিছুটা আরামদায়ক মনে হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি উচ্চতা বেশি হন।

ইলেক্ট্রিক্যাল ফিচারের দিক থেকে খানিকটা এগিয়ে রয়েছে Pulsar N250। এতে আছে সরাসরি ফোন চার্জ দেওয়ার সুবিধা, অর্থাৎ বিল্ট-ইন চার্জিং পোর্ট, যা দীর্ঘ রাইডে রাইডারদের ফোন চার্জ দেওয়া নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

বলা বাহুল্য, মূল্য অবশ্যই অনেকের কাছে বড় ফ্যাক্টর। বাংলাদেশে Gixxer 250 বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৭৯,৯৫০ টাকা দামে, আর Pulsar N250 ৩৩০,১০০ টাকায়। অর্থাৎ বাজেট ফ্রেন্ডলি মোটরসাইকেল হিসেবে Pulsar N250 অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে।

আবার সব মিলিয়ে যেসব বাইকার হাই পারফরম্যান্স, টর্ক এবং টপ স্পিড চাইছেন, তারা Gixxer 250 বেছে নিতে পারেন। আর যারা বাজেটের মধ্যে ভালো পারফরম্যান্স, আরামদায়ক মাইলেজ এবং স্টাইল চান, তাদের জন্য Pulsar N250 হতে পারে চমৎকার বিকল্প।

বলে রাখা, দুটি বাইকই তাদের নিজস্ব ব্রান্ডিং ও ইউজার এক্সপিরিয়েন্স এর ওপর দিনে দিনে জনপ্রিয় হচ্ছে। সবশেষ বাজেট আর রাইডিং স্টাইলের ওপর নির্ভর করছে আপনার সিদ্ধান্ত।

সূত্র: ঢাকা পোষ্ট

সর্বশেষ:

শিরোনাম: