বগুড়ার ধুনট সদরের শাহাদৎ হোসেন (৪৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর ফেন্সিডিল বিক্রি করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়েছে। ‘সবুজ ঘাস’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে শাহাদৎ হোসেনের ফেন্সিডিল বিক্রির ছবি পোস্ট করে। মাদক ব্যবসায়ী শাহাদৎ হোসেন (৪৫) ধুনট পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ অফিসার পাড়া (আদর্শপাড়া) গ্রামের ফজর আলীর ছেলে।
শাহাদৎ হোসেন দীর্ঘদিন যাবত পেশায় ট্রাক চালকের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য বিক্রির সাথে জড়িত। সে নিজের মালিকানাধীন ট্রাক ব্যবহার করে হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিল এনে গোপনে সংরক্ষণ করে। পরবর্তিতে ফেন্সিডিল গুলো ধুনট ও কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে বলে জানা যায়।
২০১৫ সালে জয়পুরহাট সদর থানা এলাকায় ফেন্সিডিল বোঝাই ট্রাকসহ শাহাদৎ হোসেনকে পুলিশ আটক করে। এরপরই মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায় শাহাদৎ হোসেন। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় দায়েরকৃত ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্টস এর ২৫-বি (বি) ধারায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া ধুনট থানায় ২০১৮ সালে জুয়া আইনে দায়েরকৃত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৪ মে ধুনট থানা পুলিশ শাহাদৎ হোসেনকে নিজের বাড়ির পাশ থেকে দুই বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে। এ ঘটনায় ধুনট থানায় তার বিরুদ্ধে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাসের পর জামিনে আসে শাহাদৎ হোসেন।
এদিকে ২৫ ডিসেম্বার ২০১৯ বুধবার দিবাগত রাত ১২টার আগে (১১.৪৭ মি.) ‘সবুজ ঘাস’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে শাহাদৎ হোসেনের ফেন্সিডিল বিক্রির ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিতে ফেন্সিডিলের ২টি বোতল ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এগিয়ে দিচ্ছে শাহাদৎ। অন্যহাতে সে ক্রেতার হাত থেকে এক হাজার টাকার একাধিক নোট নিচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে, ক্রেতা ফেন্সিডিল ক্রয়ের সময় দৃশ্যটি মোবাইল ফোনে গোপনে ভিডিও ধারন করেছে। সেই ভিডিও থেকে ৬টি ছবি তৈরী করে ফেসবুকে পোস্ট করা হয় ‘সবুজ ঘাস’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ।
এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শাহাদৎ হোসেন এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। ইতিপূর্বে সে একাধিকবার মাদকদ্রব্যসহ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সর্বশেষ সে জামিনে এসে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবারো ফেন্সিডিল বিক্রি শুরু করেছে। ‘সবুজ ঘাস’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে শাহাদৎ হোসেনের ফেন্সিডিল বিক্রির ছবি ফেসবুকে ভায়রাল হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
দৈনিক বগুড়া
