রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

বলয় গ্রাস সূর্য গ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প

বলয় গ্রাস সূর্য গ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প

বগুড়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে বিজ্ঞান সংগঠক শ্যামল বর্মনের সভাপতিত্বে আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে সকাল ৯ টায় বলয়গ্রাস সূর্য গ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। বলয়গ্রাস সূর্য গ্রহণ ক্যাম্প উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ বগুড়া জেলা শাখার উপদেষ্টা এ্যাড.সাইফুল ইসলাম পল্টু। আলোচনা করেন বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ বগুড়া জেলার উপদেষ্টা সাইফুজ্জামান টুটুল,বিজ্ঞান সংগঠক ধনঞ্জয় বর্মন, পলাশ চন্দ্র বর্মন, ফরহাদ হোসেন, লিখন আহমেদ। উদ্ভোধন শেষে অংশগ্রহণকারীদের সান ফিল্টার, সূর্য গ্রহণ সম্পর্কিত পুস্তিকা, ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয় এবং সূর্য গ্রহণ পর্যবেক্ষণ শেষে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনায় আলোচকবৃন্দ বলেন- সূর্য গ্রহণ নিয়ে সমাজে নানা দেশে নানা কুসংস্কার বিদ্যমান। অতীতে চীনরা মনে করতো সূর্য কে ড্রাগন গিলে খেতো , মিশরে সাপে,ভারতে রাহু প্রভৃতি কল্পকাহিনী। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় আজ প্রমাণিত সূর্য গ্রহণ কেন হয়, চন্দ্র গ্রহণ কেন হয়। সূর্য, চাঁদ, পৃথিবী যদি একই সরলরেখায় থাকে এবং চাঁদের ছায়া পৃথিবীতে আসলে হয় সূর্য গ্রহণ। বিজ্ঞানের পদযাত্রা ধর্মযাজকরা যুগে যুগে স্তিমিত করে আসছেন।অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে – ব্রুনো,গ্যালিলিও গ্যালিলি তার উদাহরণ। প্রথম সূর্য গ্রহণ দেখা হয়েছিল ১৮৩৬ সালে পরে ১৮৬৮ সালে এবং সূর্যে হিলিয়াম গ্যাস রয়েছে তার প্রমাণ ও ব্যাখ্যা দেন বাঙালি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা তাপীয় আয়নন সূত্রে। গ্রহণ বছরে সর্বনিম্ন ২ বার এবং সর্বোচ্চ ৭ বার হয়।সূর্য গ্রহণ ৩ ধরনের হয়- অাংশিক গ্রাস,বলয়গ্রাস এবং পূর্ণগ্রাস। বিজ্ঞানীরা সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে গোটা মানবজাতির জন্য তাদের আবিষ্কার দিয়ে গেছেন। বিজ্ঞানী মাদামকুড়ি,আইনস্টাইন তার উদাহরণ। আলোচকবৃন্দ আজকেও তাঁদের এ শিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সবাইকে বিজ্ঞান মনস্কভাবে গড়ে ওঠা, সমাজের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা এবং সমস্ত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: