
শারদ আবহ চারিদিকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বছরব্যাপী অপেক্ষার পালা শেষ। মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। ধূপ-ধুনুচি, পঞ্চপ্রদীপ, উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে সায়ংকালে আসনে অধিষ্ঠিত হবেন দেবী দুর্গা। মণ্ডপ আর মন্দিরগুলো মুখরিত হয়ে উঠবে ভক্তদের আরাধনায়।
পঞ্জিকা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দেবীর ষষ্ঠাদি কলারাম্ভ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে। সকালে দুর্গাদেবীর ষষ্ঠীর ঘট বসবে ও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যাবেলায় দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস হবে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবার বগুড়ায় ৬৩১ টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পূজামণ্ডপগুলোকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। পূজাকে ঘিরে মাসখানেক ধরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা।
জানা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে বগুড়া সদরে ১১৫টি, শাজাহানপুরে ৫৪টি, শিবগঞ্জে ৫৪টি, সোনাতলায় ৩৬টি, সারিয়াকান্দিতে ২০টি, ধুনটে ৩২টি, গাবতলীতে ৬০টি, শেরপুরে ৮০টি, নন্দীগ্রামে ৪৩টি, কাহালুতে ৩৮টি, আদমদীঘিতে ৬০টি এবং দুপচাঁচিয়ায় ৩৯টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীলিপ বাবু জানান, দফায় দফায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে তাদের মিটিং হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কেন্দ্রীয় ভাবে তাদের ২৬টি শর্ত বা দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মন্ডপে মন্ডপে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, সামাজিক দুরত্ব বজায় নিশ্চিত করা, দর্শনার্থীদের মন্ডপে বেশি সময় অতিবাহিত না করা, আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকা, কোন প্রকার মেলা না বসানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা, কোন প্রকার সাউন্ড বক্স বা গান বাজনা না করা।
বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার পুলিশ ও আনসার বাহিনীর মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় কাজ করবে। পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো মহল যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সেজন্য জেলা পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে। একই সাথে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনেরও আহ্বান জানান তিনি।
দৈনিক বগুড়া