রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গোবরের জ্বালানি তৈরি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেয়েছে শেরপুরের নারীরা

গোবরের জ্বালানি তৈরি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেয়েছে শেরপুরের নারীরা

বগুড়া শেরপুরের খানপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের অনেক নারীরা গোবরের তৈরি জ্বালানী তৈরি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেয়েছে। খানপুর থেকে দশশিকা গ্রামের দিকে বয়ে যাওয়া রাস্তার দুই পাশে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাঁশের মাচান তৈরি করে এর উপর এসব জ্বালানী শুকানো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার অনেক নারীরাই তাদের নিজের বাড়ির গরু-মহিষের গোবর বা অন্যের গরু-মহিষের গোবর কুড়িয়ে প্রতিদিন হাতের মুঠো দিয়ে এসব জ্বালানী তৈরি করে থাকে। কেউ কেউ বাঁশের লাকড়ির সাথে ধানের গুড়া মিশিয়ে লস্বা আকৃতির জ্বালানী কাঠি তৈরি করে, কেউবা শুধু গোবর দিয়ে হাতের মুঠোর মাধ্যমে গোলাকৃতির জ্বালানী তৈরি করে। এতে প্রতিদিন গড়ে একেকজন দেড় থেকে দুই বস্তা জ¦ালানী তৈরি করে থাকে। কেউবা আবার এর চেয়ে বেশি জ্বালানী ও তৈরি করে থাকে। এসব জ্বালানী নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছে ও চায়ের দোকান, হোটেল বা বাজারে বিক্রি করে। প্রতি বস্তা গোবরের জ্বালানী ১শত পঞ্চাশ টাকা থেকে দুশো টাকা বিক্রি হয়। এতে মাসে প্রতিজন গড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করে। বাড়ির সকল কর্ম সেরে অবসর সময়ে এই জ্বালানী তৈরি করে একদিকে যেমন জ্বালানী সংকট দূর করছে, অন্যদিকে প্রতি মাসে একটা বাড়তি আয় করে তাদের সংসার চালাচ্ছে স্বচ্ছলতার সাথে। খানপুর গ্রাম ছাড়াও এই ইউনিয়নের দশশিকাপাড়া, ছাতিয়ানি, চৌবাড়িয়া গ্রামের অনেক নারীরাই এই জ্বালানী তৈরি করে স্বচ্ছলভাবে সংসার চালাচ্ছে।
ছাতিয়ানি গ্রামের শাহনাজ পারভীন ও নার্গিস খাতুন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে তাদের সংসার চলত অভাব অনটনের সাথে যুদ্ধ করে। গত ১বছর এই জ্বালানী তৈরি করে তাদের সংসারে এখন স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এসেছে। তারা দুজনই একটি করে গরু কিনেছে এই আয় থেকে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: