
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় সোনালী আশেঁ সোনালী স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনা দেখছেন পাট চাষিরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলায় এবার পাটের আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। বিশেষ করে চরাঞ্চলের চাষিরা জমি থেকে মরিচ তোলার পর চৈত্র মাসে ওই জমিতে পাট বীজ বপণ করেছিলেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এ উপজেলায় ৬ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিলো। এবার সেখানে হয়েছে ৭ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে। চরাঞ্চল ছাড়াও বিল এলাকার চাষীরা বোরো ধান কর্তনের পর জমিতে পাট বীজ বপন করেছিলেন।
উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের ময়ূরের চরের কৃষক মোখলেছার রহমান জানান, আমি এবার ৪ বিঘা চরের জমিতে পাট চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় বীজ বপনের প্রথম থেকেই পাট গাছগুলো তড়তড়করে বেরে উঠেছিলো। তাছাড়াও এবার বন্যার পানি দেড়িতে আসায় চরের পাটের আবাদ খুবই ভালো হয়েছে। আঁশের ধরন খুবই ভালো। আগে যেখানে বিঘা প্রতি ৭/৮ মণ করে ফলন পাওয়া যাচ্ছিল, এবার সেই জমিতে ৯/১০ মণ করে ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
দিঘলকান্দি গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, পাটের ফলন ভালো এবং বাজারে প্রতি মণ পাট ৩ হাজার টাকার বেশি দামে বেচা-কেনা চলছে। উপজেলা হাটশেরপুর ইউনিয়নের দিঘাপাড়া চরে চাষি মো: রোকন উদ্দিন বলেন, গত বছর পাটের দাম ছিলো ৫ হাজার টাকা মণ। আমরাতো ওই দাম পাইনি, পেয়েছেন মহাজনরা। মৌসুমের শুরুতেই ওই রকম দাম পাওয়া গেলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হতো। এরকম দাম পাওয়া গেলে পাটের ফসলে আমাদের আশা পূরণ হবে।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল হালিম বলেন, বগুড়া জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাটের আবাদ হয়ে থাকে সারিয়াকান্দি উপজেলা এলাকায়। এখানকার কৃষকরা এবার পাটের ভালো ফলন পেয়েছেন। এরই মধ্যে এ পর্যন্ত দেড় হাজার হেক্টর জমির পাট কর্তন করেছেন চাষিরা। পরিশ্রমি পাট চাষিরা এবার ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছি।
দৈনিক বগুড়া