শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২

বগুড়ার শেরপুরে মসজিদের ইমাম হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

বগুড়ার শেরপুরে মসজিদের ইমাম হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুরে চাঁদার টাকা না পেয়ে শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদকে (৫৫) অপহরণের পর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় তিনটি মসজিদের মুসুল্লী ও এলাকাবাসী এই কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইমাম নুর মোহাম্মদকে অপহরণ করে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন সংঘবদ্ধ চক্রটির সদস্যরা। সেইসঙ্গে বেধড়ক মারপিটও করা হয় তাঁকে। উক্ত ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, মাদক কারবারি ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তালতা গ্রামের আলহাজ¦ আলী আহম্মদের ছেলে মাওলানা নুর মোহাম্মদ বিগত পনের বছর ধরে শেরুযা দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাশাপাশি মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু স্থানীয় মাদক কারবারি শাহ আলমের নেতৃত্বে বেশকয়েকজন ব্যক্তি ইমাম নুর মোহাম্মদকে অপহরণ করে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। এসময় লোহার রডের আঘাতে তার পিঠে রক্তাক্ত জখম হয় এবং ডান পা ভেঙে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পরবর্তীতে ওই ইমামের ছেলে জাকারিয়া হোসেন বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫-৬জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অভিযুক্তরা হলেন- শেরুয়া দহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম (৩৬), শাহাদৎ হোসেন (২৫), জাহিদুল ইসলাম (৪২), রাসেল (৪০), উজ্জল হোসেন (২৫), জনি (২২)।

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ:

শিরোনাম: