সংগৃহীত
ইসলামে ইবাদত কবুলের জন্য পবিত্রতা অর্জন করা শর্ত। পবিত্রতা ছাড়া ইবাদত হয় না। পবিত্রতার জন্য সাধারণত পানি ব্যবহারের বিধান দেওয়া হয়েছে ইসলামে। তবে পানি পাওয়া না গেলে বিশেষ পরিস্থিতিতে তায়াম্মুমের বিধান দেওয়া হয়েছে।
তায়াম্মুম সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আগের নবীদের উম্মত থেকে এই উম্মতকে তিন বিষয়ে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাতার ফেরেশতাদের কাতারের মতো বানানো হয়েছে, সারা ভূখণ্ডকে আমাদের জন্য মসজিদ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পানি না পাওয়া অবস্থায় মাটিকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম বানানো হয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস :২০৯)
পবিত্র কোরআনে তায়াম্মুমের বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও অথবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের কেউ শৌচস্থান হতে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে সংগত হও, অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করবে।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৬)।
অর্থাৎ, তায়াম্মুমের বিধান স্বীকৃত হওয়ার কারণ হলো মানুষ অপারগতার সময়ও যেন ইবাদত থেকে বঞ্চিত না হয়।
তায়াম্মুম করা যায় মূলত মাটি বা মাটি জাতীয় বস্তু দিয়ে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাকো কিংবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে, কিংবা নারীগমন করে থাকো, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তির সম্ভাবনা না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৪৩)
শর্তসাপেক্ষে মাটি ও মাটি জাতীয় জিনিস দিয়ে করা যায়। কেউ যদি ঘরের পাকা মেঝেতে তায়াম্মুম এবং নামায আদায় করে তাহলে তার তায়াম্মুম হয়ে যাবে। তবে তা পবিত্র থাকতে হবে। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, মাটি জাতীয় যেকোনো পবিত্র জিনিসের দিয়ে তায়াম্মুম করা যায়। আর সিমেন্ট-বালি দ্বারা তৈরি পাকা মেঝে মাটির হুকুমে। তাই কেউ যদি ঘরের পাকা মেঝেতে তায়াম্মুম করে তাহলে তার তায়াম্মুম হয়ে যাবে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট




















