সংগৃহীত
২৪ ঘণ্টার মধ্যে শেষ রাত অত্যন্ত বরকতপূর্ণ সময়। এ সময় বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। আল্লাহ তায়ালা শেষরাতে বান্দাদের ডাকতে থাকেন। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, শেষ রাতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আছে কি কেউ, যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কেউ আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দিয়ে দেব। কেউ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব! রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে ফজর পর্যন্ত আল্লাহ এভাবে বান্দাকে ডাকতে থাকেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৬৩২১)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯)
মহানবী (সা.) আরেক হাদিসে ইরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের তাহাজ্জুদের নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)
কিন্তু এই বরকতপূর্ণ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন অনেকে। গ্রীস্মকালে ছোট রাত হয়। ঘুমাতে যেতে দেরি হয় অনেকের, তাই তাহাজ্জুদের বরকতময় মুহূর্ত কখন চলে যায় তা টেরই পাওয়া যায় না। তবে শীতকালে রাত অনেক দীর্ঘ হয়। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে সহজে শেষ রাতে উঠে যাওয়া সম্ভব।
সবার চেষ্টা করা উচিত, শীতকালে যেন এই সুযোগ হাতছাড়া না হয়। অন্তত শীতকালে তাদের মতো হওয়ার চেষ্টা করা উচিত যাদের প্রশংসায় পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, তারা রাতের অল্প সময়ই ঘুমাত এবং রাতের শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থনা করত। (সুরা যারিয়াত, আয়াত : ১৭-১৮)
আল্লাহর প্রিয় বান্দারা বছর জুড়ে এই বরকতপূর্ণ সময়ের প্রতি যত্নবান থাকেন। তাদের কাছে রাত ছোট ও বড় হওয়ায় কোনো পাথর্ক্য নেই। তারা ছোট রাতেও অল্প ঘুমিয়ে বিছানা ত্যাগ করেন এবং আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকেন। নামাজ পড়েন, ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তওবা করেন।
তবে আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই যেহেতু সবসময় তাহাজ্জুদ পড়া সম্ভব হয় না। তাই শীতের রাতে তাহাজ্জুদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া একান্ত কর্তব্য।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট



















