মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ছোট লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করা বিশাল গ্রহের সন্ধান

ছোট লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করা বিশাল গ্রহের সন্ধান

সংগৃহীত

ট্রানজিটিং এক্সপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টেস) থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে আকারে ছোট লাল বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করা বিশাল এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। ‘টিওআই-৬৮৯বি’ নামের গ্রহটি যে বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে, সেটির ভর সূর্যের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ। এ নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা কম হলেও গ্রহটি আকারে শনি গ্রহের চেয়ে বড়। তবে গ্রহটির ভর শনি গ্রহের মাত্র অর্ধেক। এত দিন ছোট নক্ষত্র বড় গ্যাসীয় গ্রহ তৈরি করতে বা ধারণ করতে পারে না বলে ধারণা করা হতো। আর তাই নতুন এ আবিষ্কার পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, হোস্ট নক্ষত্রটি শীতল ধরনের লাল বামন। আমাদের সূর্যের চেয়ে অনেক ছোট আর দুর্বল। আকারে ছোট হলেও শনির চেয়ে বড় গ্রহ নক্ষত্রটিকে ঘিরে আবর্তন করছে। বড় গ্যাসীয় দৈত্যের গ্রহ কীভাবে ক্ষুদ্রতম নক্ষত্রকে আবর্তন করছে, তার তথ্য জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রাথমিক গ্রহ গঠনের বিভিন্ন তত্ত্ব অনুসারে, কম ভরের নক্ষত্রে গ্যাস ও ধুলার পাতলা ডিস্ক থাকে, যা আকারে বড় গ্রহ তৈরির জন্য যথেষ্ট নয়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, নক্ষত্রটি পরিবর্তিত কোর অ্যাক্রিশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বা মহাকর্ষীয় অস্থিরতার মাধ্যমে গঠিত হতে পারে। ডিস্কের বিভিন্ন অংশ নিজস্ব মাধ্যাকর্ষণের কারণে দ্রুত ভেঙে পড়ে। নতুন আবিষ্কার পুরোনো ব্যাখ্যাকে ভুল প্রমাণ করছে। বিশাল গ্রহ কীভাবে একটি ক্ষুদ্র নক্ষত্রের চারপাশে তৈরি হতে পারে, তা বোঝার জন্য আরও গবেষণা করতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

টিওআই-৬৮৯বি নামের গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে যথেষ্ট দূরে প্রদক্ষিণ করছে। গ্রহটির বায়ুমণ্ডল তুলনামূলকভাবে শীতল এবং সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় ১৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস থাকতে পারে। বহির্গ্রহের মধ্যে এমন পরিবেশে বেশ বিরল। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শিগগিরই গ্রহটি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানা গেছে।

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ: