শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

৫০০ ম্যাচ খেলেছি, যে কাউকে সাহায্য করতে পারি : গাঙ্গুলি

৫০০ ম্যাচ খেলেছি, যে কাউকে সাহায্য করতে পারি : গাঙ্গুলি

চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দশ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে দিল্লি ক্যাপিট্যালস। এবারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে দুইটি দল; দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও রাজস্থান রয়্যালস। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে দিল্লি।

দলের এমন পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের প্রশংসা করছেন সবাই। আর শ্রেয়াস নিজের ইতিবাচক পারফরম্যান্স ও অধিনায়কত্বের কৃতিত্ব দিয়েছেন দুই সাবেক ক্রিকেটার রিকি পন্টিং ও সৌরভ গাঙ্গুলিকে। দিল্লির প্রথম জয়ের পর শ্রেয়াস তার পথচলায় সাহায্য করায় পন্টিং ও গাঙ্গুলির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন।

কিন্তু এরপরই শুরু হয় নানান আলোচনা। যেহেতু বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি, সেহেতু আইপিএলের কোনো দল বা তার অধিনায়ককে সাহায্য করা তার পক্ষে সমীচীন নয় বলেই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। দিল্লির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছেন গাঙ্গুলি, এমন নেতিবাচক মন্তব্যও শোনা যায়।

এসব শুনেছেন গাঙ্গুলি নিজেও। তাই সকলের সংশয়-সন্দেহ দূর করতে মুখ খুলেছেন নিজেই, পরিষ্কার করেছেন পুরো ঘটনা। মূলত ২০১৯ সালের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিট্যালসের মেন্টর ছিলেন গাঙ্গুলি। তখনই দলের অধিনায়ক শ্রেয়াসকে নানান পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি। আর যেহেতু তার সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞত, তাই যে কাউকে তিনি সাহায্য করতেই পারেন।

প্রচারণামূলক এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমি ওকে (শ্রেয়াস) গতবছর সাহায্য করেছি। আমি এখন হয়তো বোর্ড প্রেসিডেন্ট, তবে ভুলে যাবেন না আমি ভারতের হয়ে ৫০০টি (আসলে ৪২৪) ম্যাচও খেলেছি। তাই আমি যেকোনো তরুণ খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলতেই পারি, তাদের সাহায্য করতেই পারি। এটা শ্রেয়াস আইয়ার হোক বা বিরাট কোহলি, তারা সাহায্য চাইলে আমি অবশ্য করতে পারি।’

এদিকে নিজের মন্তব্যকে ঘিরে নানান আলোচনা শুরুর পরই সেটির ব্যাপারে দিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। জানিয়েছিলেন, এ বছর নয় বরং গত বছর তাকে সাহায্য করেছেন গাঙ্গুলি। আর এ কারণেই পন্টিংয়ের পাশাপাশি গাঙ্গুলির নাম বলেছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে টুইট করে শ্রেয়াস লিখেছেন, ‘একজন তরুণ অধিনায়ক হিসেবে গত মৌসুমে আমার পথচলাকে মসৃণ করায় দাদা ও পন্টিংয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ক্রিকেটার হিসেবেও তারা আমাকে অনেক সহায়তা করেছে। আমার অধিনায়কত্বের বিকাশে তাদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকেই আমি অমন মন্তব্য করেছি।’

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: