শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গর্জন গাছের ভেষজ গুণাগুণ ও উপকারিতা

গর্জন গাছের ভেষজ গুণাগুণ ও উপকারিতা

আমরা অনেকে গর্জন গাছের কথা শুনে থাকতে পারি । এটি মূলত একটি পাহাড়ি এলাকার গাছ । এই গাছটি সমতলে খুব একটা চোখে পড়ে না । অন্য পার্বত্য জেলার পাশাপাশি দেশের সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকায়ও গর্জন বন দেখা যায়।গর্জন মূলত রাজসিক শ্রেণির বৃক্ষ। গাছ প্রায় চিরসবুজ ধরনের। আর উচ্চতার দিক থেকে ৪০-৫০ মিটারের মতো উঁচু হতে পারে।

পাতা ডিম্বাকৃতির, শিরা সুস্পষ্ট, ১০ থেকে ১৮ সেমি লম্বা, আগা চোখা ও গোড়ার দিকে গোলাকার। বোঁটা ৩ থেকে ৭ সে.মি. লম্বা। লালচে সাদা রঙের ফুলগুলো ৬ থেকে ৮ সেমি চওড়া হতে পারে। ফল শুকনো ও পাখাযুক্ত। ফুল ফোটে বসন্তের শেষ ভাগে আর ফল পাকে মে-জুনে। গাছের আঠা সাদা রঙের। গর্জনের কাঠ লালচে বাদামি রঙের। আলসার ও দাদ নিরাময়ে এ গাছের কষ ব্যবহৃত হয়। কাঠের তেল উৎকৃষ্টমানের জ্বালানি ও ঘুণ পোকা নিরাময়ে কাজে লাগে। মিয়ানমারে নৌকা তৈরিতে এ গাছের কা ব্যবহার করা হয়। এই গাছের কিছু ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে । এর ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে এখন আলোচনা করা হবে :

উপকারিতা :

আমাশয় রোগ নিরাময়ে :

প্রথমে গর্জ্ন গাছের ছাল কেটে নিতে হবে । এরপর এটিকে পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে । এবার এই পানিটা ছেকে এই ক্বাথ সকাল ও বিকাল সেবন করলে আমাশয় ভালো হয় ।

আলসার নিরাময়ে :

আলসার রোগ দেখা দিলে গর্জ্ন গাছের ছাল একটু কেটে এর আঠা বা বষ বের হয় সেটা সংগ্রহ করে খেতে হবে । তাহলে পেটের আলসারে ভালো উপকার পাওয়া যাবে ।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় :

গর্জ্ন গাছের কষ যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে এটা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ নিরাময়ে ভালো উপকারে আসে ।

দৈনিক বগুড়া