শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গুজব রোধে হিমশিম খাচ্ছে ফেসবুক

গুজব রোধে হিমশিম খাচ্ছে ফেসবুক

বিশ্বে বর্তমানে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত ভুয়া তথ্যের এপিসেন্টার হচ্ছে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে মুহুর্তে যেকোনো তথ্য পৌঁছে যায় কোটি মানুষের কাছে। যার কারণে করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাচ্ছে না।

তাই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য প্রচার রোধে একটি নতুন সেবা চালু করেছে ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে কেউ যদি ভুয়া খবর সম্বলিত কোনো লিঙ্কে ক্লিক করেন তাহলে তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হবে। এই সেবাকে অনেকে ‘ট্রুথ রিডিরেক্ট’ নামে আখ্যা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক খোলা চিঠিতে জাকারবার্গ লেখেন,‘মানুষকে সচেতন করার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০০ কোটি ব্যবহারকারী করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছেন ফেসবুকের মাধ্যমে।

তিনি জানান, মার্চের শুরু থেকেই, তার সংস্থার খবরের সত্যতা যাচাই করার জন্য (ফ্যাক্ট-চেকিং) ১২টিরও বেশি নতুন দেশে কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ৬০০টিরও বেশি ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৫০টিরও বেশি ভাষায় করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট খুঁটিয়ে দেখছে ফেসবুক। যদি কোনো পোস্টে ভুয়া অথবা ভুল তথ্য থাকে, যার ফলে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে, তবে সেগুলো সংস্থা সরিয়ে দিচ্ছে।

ভুয়া খবর সনাক্ত করার জন্য পূর্ব নির্ধারিত কিছু বিষয়কেই বিবেচনা করা হচ্ছে বলে খবরে জানা গেছে। তাই নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং ভুয়া খবরের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া অ্যালগরিদমের মানুষের ভাষা বোঝার সীমাবদ্ধতার কারণেও এই পদ্ধতি খুব একটা কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে না।

যদিও ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। তিনি জানান সত্যতা যাচাই লিঙ্কে এখন পর্যন্ত ক্লিক করেছেন ৩৫ কোটি ব্যবহারকারী। তিনি আরও জানান, কোনো পোস্ট যদি মানুষের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হয় তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে মুছে দিচ্ছি।

জাকারবার্গ জানান, তার সংস্থা কভিড-১৯-এর সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েক হাজার এমন ভুল তথ্য ইতিমধ্যে সরিয়ে দিয়েছে। যেমন, ব্লিচ পান করে ভাইরাস নিরাময়ের মতো তথ্য বা সামাজিক দূরত্ব এই রোগটি ছড়াতে অক্ষম ইত্যাদি। একবার কোনো পোস্ট ফ্যাক্ট-চেকারদের দ্বারা মিথ্যা বা ভুয়া হিসাবে চিহ্নিত হলে, সংস্থা সেগুলিকে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারবে। তিনি জানান, মার্চ মাসে সংস্থার নিয়োজিত ফ্যাক্ট-চেকাররা এই ধরণের প্রায় চার হাজারের মতো পোস্ট খুঁজে পেয়েছেন।

দৈনিক বগুড়া