শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধুনটে বরই চাষীরা লিখছেন সফলতার নতুন গল্প

ধুনটে বরই চাষীরা লিখছেন সফলতার নতুন গল্প

ধুনট উপজেলায় বরই চাষে ফলন বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষীর মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে সুন্দরী, কাশ্মীর, আপেল কুলসহ নানা জাতের বরই। এই উপজেলায় গত বছর বরই চাষ হয়েছিল ৭ হেক্টর জমিতে। এক বছরের ব্যবধানে বরই চাষ বেড়েছে ৩ হেক্টর জমিতে।

কাঁচা-পাকা ফলে ভরা মাটিতে নুইয়ে পড়া বরই বাগান চোখ জুড়ানো এক অপরূপ দৃশ্য। বরই চাষ করে উপজেলার অনেক প্রান্তিক কৃষকেরা স্বাবলম্বি হয়েছেন। অনেকের সংসারের অর্থনৈতিক চাকা সচল হতে বড় ভূমিকা রাখছে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ।

উপজেলার বিভিন্ন বরই বাগান ঘুরে দেখা গেছে, ধুনট উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে কালেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম এলাকায় হেউটনগর কদলা পাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের আব্দুল করিম সাকিদার লেখাপড়া শেষ করে কৃষিকাজে যুক্ত হন। পরীক্ষামূলকভাবে নিজ জমিতে বাণিজ্যিক পেয়ারা চাষ শুরু করেন। পরে পেয়ারা চাষের পাশাপাশি শুরু করেন বরই চাষ। আব্দুল করিম বর্তমানে ৩৩ শতাংশ জমিতে বরই চাষের পাশাপাশি কিছু পেয়ারা, আম ও লেবুর চাষও করছেন। তার জমিতে উৎপাদিত এসব বরই জেলা ছাড়িয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এলাকার দরিদ্র পরিবারের লোকজন বাগানে বরই সংগ্রহের খণ্ডকালীন কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি পরিবারের মৌসুমি ফলের চাহিদাও মিটিয়ে থাকেন।

বথুয়াবাড়ী গ্রামের বরই চাষী রায়হান, ইমরানসহ অনেক বরই চাষী জানান, তাদের ওখানে প্রায় ৪৪-৪৫ বিঘা জমিতে আপেল কুল জাতের বরই চাষ করা হয়েছে। এতে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বরই চাষে খরচ হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতি মণ বরই বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০০-১৩৫০ টাকা। দাম ভালো থাকলে অনেকটা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধুনট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক জানান, চাষীরা কৃষি অফিসে এসে নানান ধরনের পরামর্শ নিয়ে বরই চাষে নিয়োজিত হয়েছেন। তারা ফলনও ভালো পেয়েছে। ফলন বৃদ্ধি হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা এখন বরই চাষে ঝুঁকছে।

দৈনিক বগুড়া