শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে ১৫৬ ভূমিহীন পরিবার দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছে

নন্দীগ্রামে ১৫৬ ভূমিহীন পরিবার দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছে

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১৫৬ ভূমিহীন পরিবার দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছে। উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ১৫৬ ভূমিহীন পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা বরাদ্দ হতে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। যা তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার।

এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানগণ নিয়মিত বাসগৃহ নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করছে। ইউপি চেয়ারম্যানগণ প্রকৃত অসহায় গৃহহীন যাদের জায়গা জমি ঘরবাড়ি নেই তাদের তালিকা তৈরী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দেয়। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গা নির্ধারণ করে গত নভেম্বর মাস থেকে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এখন তা সমাপ্তির পথে। অতি শীঘ্রই গৃহহীন পরিবারের নিকট দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ আমি নিজেই তদারকি করছি। যথারীতিভাবে নিয়ম মেনেই শতভাগ কাজ করা হচ্ছে। এখানে কোনো অনিয়ম নেই।

আর একাজ দেখার জন্য সবাইকে আমি বলেছি। অনিয়ম হলে আমি নিজেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। সরকারের উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে আমাদের যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মেনেই কাজ করা হচ্ছে। ভূমিহীন পরিবারের বসবাস উপযোগী দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ভূমিহীন পরিবারের বাসগৃহ নির্মাণ কাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার নিজেই তদারকি করছে। আমরা শতভাগ নিয়ম মেনেই বাসগৃহ নির্মাণ কাজ করছি। অনিয়ম করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

গোছন গ্রামের আমেনা বেওয়া, গোপালপুর গ্রামের হাসিনা বেগম, মাহামুদা খাতুন ও মাকছুদা বিবি জানান, আমরা মাথাগোঁজার ঠাই পেয়ে খুশি হয়েছি। এর আগে কোনো সরকার আমাদের মাথাগোঁজার ঠাই দেয়নি। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছে। আমারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নে ১৯ টি, নন্দীগ্রাম ইউনিয়নে ৪৬ টি, ভাটরা ইউনিয়নে ১৪ টি, থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নে ৪২ টি ও ভাটগ্রাম ইউনিয়নে ৩৫ টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে।

দৈনিক বগুড়া