শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আইভি রহমানের অবদান রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আইভি রহমানের অবদান রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইভি রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আইভি রহমান সব সময় মাঠে থাকতেন। তিনি জনসাধারণের পাশে থাকতেন। যেকোনো সভাৃয় তিনি শ্রমিকের সঙ্গে বসে থাকতেন; কারণ তার মধ্যে কোনো অহমিকা ছিলো না। এত ভালো একজন মানুষের এমন বিভৎস মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের কক্ষে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ২৪ আগস্ট মারা যান। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ওই গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আরো ২১ জন নেতা-কর্মী নিহত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগের ওই ২২ নেতা-কর্মী বিশেষত আইভি রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ও তাদের স্মরণ করছি, যারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আইভি রহমানের মতো এমন একজন চমৎকার নিরহংকারী মানুষের মৃত্যু মেনে নেয়া খুবই কষ্টের।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরো বলেন, আইভি রহমান স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে রাজনীতি করেছি।

তিনি বলেন, ২৪ আগস্ট আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে, কারণ ২০০৪ সালের এই দিনেই তিনি মারা যান।

তিনি আরো বলেন, আমরা জানতেও পারিনি আমাদের এই নেত্রী কখন মারা গেছেন। কারণ ২১ আগস্ট ঘৃণ্য ওই গ্রেনেড হামলার পর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরো বলেন, ২১ আগস্টের ওই গ্রেনেড হামলায় ২২ নেতা-কর্মী প্রাণ হারান। তারমধ্যে দুই জনকে শনাক্ত করা যায়নি। কেউ তাদের লাশ নিতেও আসেনি। 

তিনি আরো বলেন, আমরা এই গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নেতা-কর্মীকে হারিয়েছি। এতে আমাদের আরো ৬শ’ থেকে ৭শ’ নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন। আহতদের অবস্থা ছিলো গুরুতর। অনেকেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও মারা যান। কারণ, তারা দেহে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার বহন করছিলেন।

এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

 

দৈনিক বগুড়া