শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুস্থ সন্তান পেতে সাবধান থাকুন এই বিষয়গুলোতে

সুস্থ সন্তান পেতে সাবধান থাকুন এই বিষয়গুলোতে

আজকাল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত না করে ছেলে বা মেয়ে কেউই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান না। তাই বিয়েতে হয় দেরি এবং গর্ভসঞ্চার হয় আরো  দেরিতে। তাই এক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা জটিলতা। তাই সন্তান ও হবু মা-বাবার সুস্থতার কথা মাথায় রেখে প্রথম থেকেই বাড়াতে হবে সচেতন।

‘প্রি ম্যারেজ কাউন্সেলিং’-এর জনপ্রিয়তা বিদেশের মতো আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আজকাল প্রি ম্যারেজের চেয়েও প্রি প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। একজন  স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মার্থা হাজরা জানালেন, গর্ভসঞ্চারের আগেই কী কী সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।

প্রি প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং
১. ফার্টাইল পিরিয়ডে নিয়মিত সহবাস করার পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসকই। তবে শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী এই নিয়ম কিছুটা বদলায়। তাই সহবাসের উপযুক্ত সময় নিয়েও পরামর্শ নিতে পারেন চিকিৎসকের কাছ থেকে। তা সত্ত্বেও ৬ মাসের মধ্যে গর্ভসঞ্চার না হলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

২. পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর ১২ থেকে ১৬ দিন হল ফার্টাইল পিরিয়ড। পিরিয়ড অনিয়মিত হলে রক্তের সিরাম এলএইচ মেপে বা আলট্রাসাউন্ড করে বুঝতে হয় কখন ডিম্বাণু বের হবে। তখন সহবাস করতে হবে।

৩. স্বামী-স্ত্রী ওজন কম রাখার চেষ্টা করুন, বিশেষ করে স্ত্রী। শরীরচর্চা করুন ও মন শান্ত রাখুন।

৪. ঘরে বানানো কম ক্যালোরির সুষম খাবার খান।

৫. মদ্যপান ও ধূমপান করবেন না। সন্তানধারনের সময় এই দুটিই বেশ ক্ষতিকর, বিশেষ করে জটিলতা থাকলে তো এ সব আরো সমস্যা তৈরি করে।

৬. উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চিকিৎসায় তাকে নিয়ন্ত্রণে এনে গর্ভসঞ্চারের কথা ভাবুন। ডায়াবেটিস বা হাইপোথাইরয়েডিজ্ম থাকলেও একে নিয়ন্ত্রণ করুন।

৭. যৌন রোগের আশঙ্কা থাকলে রক্ত পরীক্ষা করে, ভাল করে চিকিৎসা করান। কিছু যৌন রোগ ক্রনিক হয়ে গেলে বন্ধ্যাত্বও হতে পারে।

৮. এইচআইভি টেস্ট করান। রিপোর্ট পজিটিভ এলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

৯. মহিলাদের যদি রুবেলার প্রতিষেধক না নেয়া থাকে, স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে প্রয়োজন হলে এমএমআর টিকা দিয়ে ৩ মাস অপেক্ষা করার পর গর্ভসঞ্চারের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

১০. মেয়েরা ৪০০ মাইক্রোগ্রাম করে ফোলিক এসিড খান। মাল্টি ভিটামিনও খেতে হতে পারে। তবে অ্যানিমিয়া না থাকলে আয়রন সাপ্লিমেনন্টের দরকার নেই।

১১. ভেরিসেলা বা চিকেন পক্সের স্ক্রিনিং করান। রোগের প্রতিরোধ কম থাকলে প্রতিষেধক দেয়ার পর তবেই আসবে গর্ভধারণের প্রশ্ন। না হলে গর্ভপাত, সময়ের আগে প্রসব ও সন্তানের জন্মগত ত্রুটি থাকার আশঙ্কা থাকে। তবে অধিকাংশ মহিলারই এই রোগের বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিরোধ থাকে।

১২. পরিবারে কোনো জেনেটিক অসুখ থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চলুন। প্রয়োজনে ক্রোমোজোমাল স্টাডি করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

দৈনিক বগুড়া