শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশ যেতে অনুমতি লাগবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরও

বিদেশ যেতে অনুমতি লাগবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরও

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিদেশে যাওয়ার আবেদনে তার অনুপস্থিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম, পদবী, দাপ্তরিক ফোন, সেল ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয় এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগকে অবহিত করতে হবে।

ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া এখন থেকে আর কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন না। তাদের বিদেশে যেতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। অনুমতি পেলেই কেবল তারা বিদেশে যেতে পারবেন।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে জারি করা এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দেয়া হয়; যা সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ’ শীর্ষক সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাপ্তরিক কোন কাজে বা ব্যক্তিগত ছুটিতে দীর্ঘদিনের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করলে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে সার্বিক গতিশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাগত ঝুঁকিসহ আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে, যা কোনভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।

‘এ প্রেক্ষিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান যতদূর সম্ভব পরিহার করার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশে কার্যরত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকতার বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ আবশ্যকীয় হলে দেশের বাইরে গমনের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে ভ্রমণের ১৫ কর্মদিবস পূর্বে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের কপিসহ বিদেশ ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে।’

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিদেশে যাওয়ার আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন করলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতে তার স্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম, পদবী, দাপ্তরিক ফোন, সেল ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা প্রধান নির্বাহীর কর্মস্থল ত্যাগের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয় এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগকে অবহিত করতে হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভ্রমণের কারণ, খরচ, কোথায় অবস্থান করবেন তার ঠিকানা, একাধিক দেশ হলে প্রত্যেক দেশের নাম-অবস্থানের সময়, সর্বশেষ কোন দেশ সফর করেছিলেন, কতো দিন ছিলেন, কি কারণে গিয়েছিলেন এসব তথ্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে বলা হয়েছে।

ব্যাংকের এমডিদেরও বিদেশে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। শুধু অনুমতি নয়, কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন, সঙ্গী কে, এসব তথ্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিতে হয়।

এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও একই ধরনের নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা হঠাৎ করেই বিদেশে চলে যান। অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনেও তাদের পাওয়া যায় না। অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশে আবাস গড়ারও অভিযোগ মিলছে। এসব ব্যক্তির কাছে আমানতকারীদের টাকা নিরাপদ নয়। এ কারণেই তাদের বিদেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।

দৈনিক বগুড়া