শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস আজ

জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস আজ

আজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুজাতিক কম্পানি শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, রশিদপুর, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্র কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জ্বালানি খাতে এই সিদ্ধান্তকে দূরদর্শী পরিকল্পনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরবর্তীকালে এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তার বড় নির্ভরস্থল হয়ে ওঠে।

বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১০ সালের ১২ আগস্ট এক পরিপত্রে ৯ আগস্টকে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিন সরকার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দেশবাসীকে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত থাকবেন বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন যোগান নিশ্চিত করতে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুত্, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সর্বোত্তম ও সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের উর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির যোগান একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। জ্বালানির এ গুরুত্ব বিবেচনায় এ বছর জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বহুমুখী জ্বালানি, সমৃদ্ধ আগামী’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।  

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প-২০৪১’ অর্জনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের সময়ে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ ও জকিগঞ্জ নামে মোট ৫টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। আরো নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার লাইন কিলোমিটার ২-ডি সিইসমিক জরিপ এবং ১ হাজার ৫৩৬ বর্গকিলোমিটার ৩-ডি সিইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ’ 

তিনি আরো বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত সময়ে ২১টি অনুসন্ধান, ৫০টি উন্নয়ন ও ৫৬টি ওয়ার্কওভার কূপ খননের ফলে দেশীয় উত্স থেকে গ্যাসের উত্পাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০০০ এমএমসিএফডি।  

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, জ্বালানির অপচয় রোধ করে সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এ দিবসটি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। ’

দৈনিক বগুড়া