শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি ও নিষ্ঠা বাঙালির অগ্রগতি-সমৃদ্ধির পথপ্রদর্শক

বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি ও নিষ্ঠা বাঙালির অগ্রগতি-সমৃদ্ধির পথপ্রদর্শক

সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রধান বাহক। ন্যায়বিচার ও সমতার নীতির প্রতি তার অতুলনীয় দূরদৃষ্টি, সাহস ও নিষ্ঠা বাঙালি জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথপ্রদর্শক। তিনি সমাজের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আইনি সহায়তা প্রদানের গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং সমাজে অবিচার ও অসমতা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

বৃহস্প‌তিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘শিশু সংবেদনশীল আদালত কক্ষ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশের অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানের একটি সংবিধান প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এবং মাত্র ১০ মাসের মধ্যে তা সম্ভব করে তুলেছিলেন। এ সংবিধানে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতি নির্ধারণ করা হয়, যা দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।

তিনি আরো বলেন, শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ প্রণয়ন করে জাতিসংঘ। এর ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু আইন প্রণয়ন করেন, যা বাংলাদেশে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।

আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের কল্যাণে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১৩ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়, যা শিশুদের সুরক্ষা, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতে আইনি কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করে। এ আইনে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যকর বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। শিশুদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার  বাংলাদেশে শিশু বিচার ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উন্নীত করতে চায়। সেজন্যই আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশু বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিসিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের পরিচালক শেখ হুমায়ুন করীর প্রমুখ।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: