শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

শিক্ষার্থীর ডিজাইনে হাবিপ্রবিতে নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফটক

শিক্ষার্থীর ডিজাইনে হাবিপ্রবিতে নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফটক

সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রথম ফটকের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফার্নিয়া কবির ও তার দল গেটটির ডিজাইন করেন। ফটকটি ঘিরে নতুন রূপে সজ্জিত হচ্ছে হাবিপ্রবি।

উত্তরবঙ্গের জ্ঞানের বাতিঘর হাবিপ্রবিতে মূলত তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। এর মধ্যে নির্মাণাধীন এ ফটকটি প্রথম গেট হিসেবেই অধিক পরিচিত। এছাড়া বাকি দুটিতে সুন্দর স্থাপনা থাকলেও একটিতে ছিল না মানসম্মত কোনো ফটক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ফটকটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত বছরের জুনে। দীর্ঘ প্রায় আট মাস পর ফটকটির স্থাপনা দৃশ্যমান হতে শুরু করে। 

এদিকে হাবিপ্রবির দৃষ্টিনন্দন প্রধান ফটকের নকশাকার ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান এসএম নাঈম হাসান। তবে এবার তার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। নির্মাণাধীন এই ফটকটির জন্য হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিকট ডিজাইন আহ্বান করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফার্নিয়া কবির ও তার দলের করা ডিজাইনটি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট হিসেবে পরিচিত এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে টিএসসি, ব্যাংক, বুথ, ডি-বক্স, আবাসিক হল, খেলার মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা দেখা যায়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনের কারণেই ফটকটির চারিদিক থাকে পদচারণায় মুখর। তবে এই ফটকে দৃশ্যমান ভিড় থাকার অন্যতম কারণ চা-নাস্তার দোকানগুলো। যেখানে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে আড্ডা দিয়ে থাকেন। 

ফটকটির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, কাজ মোটামুটি শেষের পথে। খুব দ্রুতই উদ্বোধন করা হবে। গেটের পাশে রাস্তার কাজও চলছে। ফটকটির মূল এন্ট্রি অংশ ২০ ফুট এবং পথচারী এন্ট্রি অংশ ১০ ফুট প্রশস্ত। যার নির্মাণব্যয় প্রায় ৩৪ লাখ টাকা। 

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী জাবির আল মামুন বলেন, দেরিতে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফটকটি দৃষ্টিনন্দনের কাজ হচ্ছে। মূলত ফটকগুলো অনেকাংশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় বহন করে। বিশেষ করে আর্টিকেল কিংবা নিউজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের ছবি বহুল ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে, দৃষ্টিনন্দন ফটকগুলো একটি ভালো ইম্প্রেশন তৈরিতেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। নির্মিতব্য তৃতীয় দৃষ্টিনন্দন ফটকটি এমনি পরিচায়ক হিসেবে ব্যবহার হবে বলে আশা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রথম ফটকটি পূর্বে কেবল প্রবেশদ্বার হিসেবে ছিল। সেটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। কেননা ফটকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য স্থাপনার সঙ্গে খুব অসামঞ্জস্য হয়ে যাচ্ছিল। আধুনিকায়নের ফলে ফটকটির সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যাবে। নির্মাণ কাজ অধিকাংশে শেষ। এরই মধ্যে এটি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। খুব দ্রুতই উদ্বোধন করা হবে।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: